শিরোনাম
লামা ও আলীকদমে সেগুন বাগানে পোকার আক্রমণ
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:১৩
লামা ও আলীকদমে সেগুন বাগানে পোকার আক্রমণ
লামা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চলতি বর্ষা মৌসুমে যখন বাগানগুলো সবুজ পাতায় ভরে ওঠার কথা, ঠিক সেই সময়ে বান্দরবানের লামা ও আলীকদমে সেগুন বাগানগুলোতে এক ধরনের পোকার আক্রমণেগাছের পাতাগুলো ছিদ্র হয়ে বাদামি রং ধারণ করে। এতে গাছের পাতা অসময়ে ঝরে যাচ্ছে। এর ফলে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বাগান মালিকরা।


সূত্র জানায়, লামাও আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ব্যাক্তি উদ্যোগে হাজার হাজার একর সেগুন বাগান সৃজন করা হয়। অনেকে ব্যাংক বীমায় সঞ্চয় না করে এসব বাগান করতে পূঁজি বিনিয়োগ করেছেন বাগান মালিকরা।


বাগানের এক পাশ থেকে শুরু হয়ে এটি আস্তে আস্তে পুরো বাগানে ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে পোকার আক্রমণেদুই উপজেলার কয়েক হাজার বাগানের ক্ষতি হয়েছে।


সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, আলীকদমের শিবাতলী এলাকা, লামা উপজেলার মিরিঞ্জা, পৌর এলাকার লাইনঝিরি, নুনারঝিরি, চাম্পাতলী, টি.টি অ্যান্ড ডিসিসহ বিভিন্ন এলাকার সেগুন বাগানগুলোতে এ পোকা আক্রমণকরতে দেখা যায়। প্রতিটি পাতায় ছোট আকারের সবুজ রংয়ের তিন থেকে চারটি পোকা পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলছে। পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলার পর পাতাটি দেখতে ছিদ্র ছিদ্র ও বাদামি রং ধারণ করে এবং এক পর্যায়ে ঝরে পড়ে। কৃষি বিভাগের লোকদের মতে এগুলো ছিদ্র পোকা।


লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের বাগান মালিক থোয়াইনু অং চৌধুরী, নুনারঝিরি এলাকার ইউছুপ, আলীকদমের চৈক্ষ্যং এলাকার মোদাচ্ছেরসহ অনেক বাগান মালিক জানায়, সেগুন গাছের সবুজ বাগানগুলো পোকার আক্রমণেবাদামি রং ধারণ করেছে। একটি বাগান আক্রমণকরার পর বাশের বাগানটি পর্যায়েক্রমে পোকার আক্রমণের শিকার হচ্ছে। গাছের পাতা ঝরে যাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন বাগান মালিকরা।


সেগুন গাছের পাতায় পোকার আক্রমণের বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি তাদের দৃষ্টিতে এসেছে। এ সমস্যা আগে কখনো দেখা যায়নি। তবে এ নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। বৈশ্বিক জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবে এসব বালাই দেখা দিতে পারে। লামা বন বিভাগ এর আলামত সংগ্রহ করেছে। এগুলো বন গভেষনাগারে প্রেরণ করা হবে। এর ফলে সেগুন গাছের বর্ধন সামন্য ব্যাহত হবে, তবে এতে তেমন ক্ষতি হবেনা বলেও জানান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ।


বিবার্তা/আরমান/তাওহীদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com