দায়িত্ব পালনের সময় ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামানকে পিটানোর ঘটনায় নড়াইল সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল মাহমুদ তুফানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার পর সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামানকে পিটিয়ে আহত করেন ভাইস চেয়ারম্যান তুফান। এতে ওই পুলিশ কর্মকর্তার মাথাসহ দুই হাতে গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই ভাইস চেয়ারম্যান তুফানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় নড়াইল শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানোয় এক তরুণকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলটি পুলিশ ছেড়ে না দেয়ায় সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রথমে ট্রাফিক পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে ফোন করেন। এরপরও মোটরসাইকেলটি না ছাড়ায় তুফানসহ আরো লোকজন এসে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় তাদের মারধরে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) মনিরুজ্জামান, ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহ জালাল, টিএসআই সরোয়ার আলম এবং কনস্টেবল নজরুল আহত হন। এদের মধ্যে মনিরুজ্জামান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আর পুলিশ তুফানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহমুদ তুফানকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। তুফানকে সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিবার্তা/জাই