মৌলভীবাজারের মনু নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এতে সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানায়, বালু উত্তোলন বন্ধ করে মনু নদীর অপর অংশকে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসনসহ সরকারি দফতর ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন করছি। কিন্তু কেউই প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই সদর উপজেলার মনু নদীর দুর্লভপুর অংশে বালু উত্তোলন করা হয়। কিন্তু এ বছর তিনটি ড্রেজার দিয়ে ব্যাপক ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের কারণে চাঁদনিঘাট ইউনিয়নের মমরুজপুর, আসিয়া, গদাধরভাগ, ঢেউপাশা ও বালিকান্দি গ্রামের বিভিন্ন অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এমনকি তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও নদীতে বিলীন হবার পথে। বালু মহালের ইজারাদাররা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কারো অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এভাবে বালু উত্তোলন হতে থাকলে অচিরেই এই গ্রামগুলোর অনেকাংশ নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

এলাকাবাসী গোলাম কবির চৌধুরী, ফয়জুল, ছুফান মিয়া, আজম মিয়াসহ অনেকেই বলেন, ইজারাদার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ইচ্ছে মত বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। আমাদের গ্রামের অনেক অংশ এখন বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে প্রাইমারি স্কুলও। এরপরও অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে ইজারাদার। এভাবে চলতে থাকলে সারা গ্রামই বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতর মৌলভীবাজার জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা বলেন, এ ধরণের কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি। বালু ইজারার বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখে। যদি কেউ জেলার প্রশাসনের অনুমতির বাহিরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেই ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিব।

তিনি বলেন, বালু উত্তোলনের কারণে যদি পরিবেশে ক্ষতিকারক প্রভাব পরে। তাহলে আমরা জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করব, যে কি কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। পরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

বিবার্তা/তানভীর/তাওহীদ