শিরোনাম
গাইবান্ধায় নৌ যোগাযোগ হুমকির মুখে
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৫৯
গাইবান্ধায় নৌ যোগাযোগ হুমকির মুখে
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গাইবান্ধা জেলায় গত দুই মাস পূর্বে বন্যার কারণে নদী গুলো পানিতে কানায় কানায় উপছে উঠেছিল। অতি খরায় অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র ও যমুনাসহ সবগুলো নদ-নদীর চ্যানেলগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে ফলে যে কোনো সময় নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পুর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।


আগস্ট মাসের শেষের দিকে ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা ও যমুনায় পানি কমতে শুরু করেছে।এখন পানির লেবেল সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। ফলে নদীগুলো অসংখ্য শাখা প্রশাখায় বিভক্ত হয়েছে। নদী বুকে জেগে উঠেছে ছোট বড় অসংখ্য ডুবোচর। ফলে ওইসব চ্যানেলে শ্যালো চালিত নৌকাসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল করতে হিম শিম খাচ্ছে। মানুষজন চর থেকে সাঘাটা সদরে কেনা কাটা করতে এসে রাতে বাড়ি ফিরতে চিন্তায় থাকেন কোনো সময় আটকে যায় নৌকা।


জানাযায়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি বালাসিঘাট, তিস্তামুখঘাট, সৈয়দপুর, এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর, সদর উপজেলার কুন্দেরপাড়া, কামারজানি, গিদারি এবং সাঘাটা নৌ বন্দরে চলাচলকারি চ্যানেলে পানি সংকট দেখা দিয়েছে।


ফলে ওইসব নৌঘাট থেকে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, কর্তীমারী, চিলমারি, রৌমারি, জামালপুরের ইসলামপুর, বাহাদুরাবাদ, দেওয়ানগঞ্জ, ঘুটাইল, ফুলছড়ির সানন্দবাড়ী, ফুটানী বাজার, জিগাবাড়ী, হরিচন্ডি, খোলাবাড়ী, খাটিয়ামারী, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, লালচামার, বেলকাসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে এখন নৌকাসহ অন্যান্য নৌযান স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক নৌঘাট বন্ধের পথে।


এদিকে নদী বুকে চর জেগে ওঠায় অনেক স্থানে এখন পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয় চরবাসিকে। ফলে তপ্ত বালুরাশিতে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে স্কল শিক্ষার্থীদের কষ্টটা বেশি লক্ষ করা গেছে।


সেপ্টেম্বরে শুরু থেকে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনাসহ ছোট বড় শাখা নদীর পানি দ্রত কমতে শুরু করে পানি। অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে নদীগুলো নিজেদের অস্তিত হারাতে বসেছে এখন। যমুনা নদীর পানি এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে ঠেকেছে। নদীর বুকে চর জেগে উঠেছে এখন। চরগুলোতে কাঁশবনে ছেয়ে গেছে। নাব্যতা থাকায় স্বাভাবিক সময় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের চরাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য ৩০টি রুটে নৌযান চলাচল করতো।


এখন সেখানে অনেক রুটে যান্ত্রিক নৌকা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফলে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে।


ভরতখালী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মাহবুবর রহমান বলেন, নদী ড্রেজিং করা অতি জরুরি কারণে ফলে নদী ভাঙন সৃষ্টি হয়।


সাঘাটা ঘাটের নৌ চালক রহিম মিয়া জানান, নৌকা নিয়ে যেতে এখন বড় কষ্ট, নদীর মধ্যে গিয়ে আটকে যায়। তখন যাএীরা পরে ভোগান্তিতে।


যাএী আব্দুল লতিফ বলেন, এখনও নৌকা খুব একটা বালু চরে আটকা পড়ছে না। যেভাবে পানি কমছে, তাতে আর দু এক মাস নৌকা চলাচলা স্বাভাবিক ভাবে চলবে। পরে প্রতিদিনিই নৌকা আটকে পড়ার আশংকা বেশি।


এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে এ নদীগুলো আরো ভরাট হয়ে যাবে এবং নাব্যতা সংকটের মুখে পড়বে। সেজন্য অবিলম্বে নৌ চ্যানেলগুলো ড্রেজিং করে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। দেশের নদীগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা সরকারের একটি মহাপরিকল্পনা রয়েছে।


উল্লেখ,নৌকার বিকল্প চর বাসির ভরসা ট্রাটু ঘোরার গাড়ি ও মোটরসাইকেল পরিবহন।


বিবার্তা/রুবেল/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com