শিরোনাম
মুন্সীগঞ্জ সড়কের গাছ বিক্রির টেন্ডারে অনিয়ম !
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০১৯, ১৪:৩৫
মুন্সীগঞ্জ সড়কের গাছ বিক্রির টেন্ডারে অনিয়ম !
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ভবেরচর,গজারিয়া- মুন্সীগঞ্জ মহাসড়কের মান ও প্রশস্ত উন্নীতকরনের কাজে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সড়কের দুই পাশের গাছ বিক্রির টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।


একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট কোটি টাকার গাছ হাতিয়ে নিয়েছে মাত্র ২৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকায়। ওই সড়কের দুই পাশের গাছ বিক্রির জন্য টেন্ডার আহ্বান করে গজারিয়া উপজেলা পরিষদ। পাঁচটি প্যাকেজে ওই টেন্ডার আহ্বান করলে সর্বমোট ৭৩ টি দরপত্র বিক্রি হয়। তবে পাঁচ প্যাকেজে মোট ১৫ টি দরপত্র জমা পড়ে। প্রতিটি প্যাকেজে তিনটি করে দরপত্র জমা পড়ে।


উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে- সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে চার লাখ ৫৭ হাজার ১০১ টাকায় একটি প্যাকেজের গাছ বিক্রির টেন্ডার পায় রাসেল আখন্দ নামে এক ব্যক্তি।


নাছির উদ্দিন চার লাখ ৬৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাঁচ লাখ ৩১ হাজার ২১২ টাকায় দুটি প্যাকেজের টেন্ডার পান। এছাড়া তিন লাখ ৮৯ হাজার ৮৯০ টাকায় সহিদ হোসেন এবং পাত লাখ ২৯ হাজার ৭১৯ টাকায় সহিদ অপর প্যাকেজের গাছ বিক্রির টেন্ডার পায়। এতে পাঁচটি প্যাকেজের সর্বমোট টেন্ডার মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ লাখ ৭৭ হাজার ২৪৭ টাকা।



এদিকে, ভবেরচর-গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ সড়কের গাছ গুলো ৫০ থেকে ৩০ বছরের পুরনো। ২৪৩ টি গাছ বিক্রির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ায় পাঁচ প্যাকেজে ৭৩ টি দরপত্র বিক্রি সত্বেও জমা পড়ে মাত্র ১৫ টি। একেকটি প্যাকেজে নিয়ম রক্ষার তিনটি করে দরপত্র জমা পড়ে। অর্ধশত বছরের পুরনো একেকটি কড়ই গাছের কয়েক লাখ টাকা বাজার মূল্য রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবী।


৩০ বছরের পুরনো একেকটি গাছেরও বাজারে বিক্রি মূল্য রয়েছে লাখ টাকার উপড়ে। সব কিছু মিলিয়ে সড়কের ওই গাছ গুলোর বাজার মূল্য কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।


তারা বলেন, নিয়ম রক্ষার জন্য প্রতিটি প্যাকেজে তিনটি করে দরপত্র জমা পড়ার ঘটনাটি টেন্ডার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পাশাপাশি কোটি টাকার গাছ নাম মাত্র মূল্যে টেন্ডার দেয়া হয়েছে।


জেলার ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, সড়কের দুই পাশের ২৪৩ টি গাছ বিক্রির জন্য পাঁচটি প্যাকেজে ভাগ করা হয়। গাছ গুলোর মধ্যে স্বল্প সংখ্যক ৩০ বছর বয়সী ও অধিকাংশই ৩০ বছরের নীচে। প্রথম প্যাকেজে এক থেকে ৫০ পর্যন্ত গাছের সরকারি ভাবে চার লাখ ৪৬ হাজার ৭৭১ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে বন বিভাগ। দ্বিতীয় প্যাকেজে ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত গাছের সরকারি মূল্য চার লাখ ১৯ হাজার টাকা, তৃতীয় প্যাকেজে ১০১ থেকে ১৫০ পর্যন্ত গাছের সরকারি মূল্য তিন লাখ ৮৮ হাজার টাকা, চতুর্থ প্যাকেজে ১৫১-২০০ পর্যন্ত গাছের সরকারি মূল্য পাঁচ লাখ চার হাজার ও ২০১-২৪৩ পর্যন্ত গাছের সরকারি মূল্য পাঁচ লাখ ২৮ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়।


টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবী করেন ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা। তবে এ প্রসঙ্গে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
বিবার্তা/নূরুন্নবি/তাওহীদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com