নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে চারটি শর্ত দিয়েছেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নাগরিকত্বসহ তারা চারটি শর্ত দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে টেকনাফের নয়াবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ও আরকানা রোহিঙ্গা সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ উল্লাহ বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নাগরিকত্ব দেয়া, জমিজমা ও ভিটেমাটির দখল এবং সেদেশে ক্যাম্পে যে এক লাখ ২৮ হাজার রোহিঙ্গাকে রাখা হয়েছে, তাদের বাসস্থানে ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, এ চারটি শর্ত মানলে আমরা মিয়ানমারে ফেরত যাব। শর্ত মানলে আমরা আজই সেখানে যাব। আমরা সবসময়ই রাজি আছি। তবে শর্ত না মানলে যাব না।
সৈয়দ উল্লাহ দাবি করেন, তিনি ৯০ ভাগ রোহিঙ্গার দাবি উপস্থাপন করেছেন। এ সময় চারটি ক্যাম্পের দলনেতা, ইমাম ও সোসাইটির সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও ক্যাম্পের চেয়ারম্যানরা ছিলেন না।
এর আগে বৃহস্পতিবারই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে দুপুর পর্যন্ত তাদের অনাগ্রহের কারণে তা শুরু করা যায়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, সাক্ষাৎকার দেয়া রোহিঙ্গাদের কেউই মিয়ানমারে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছিল। রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় তখন কাউকেই রাখাইনে পাঠানো সম্ভব হয়নি।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]