ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রেনেড হামলা দিবস পালিত হয়েছে।

২০০৪ সালে ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রতিবাদ র‌্যালির মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়।

র‌্যালিটি প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

সভায় গ্রেনেড হামলা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর শামসুজ্জামান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ।

এছাড়াও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বক্তব্য রাখেন।

সভায় প্রধান আলোচক বলেন, অনেকে রাষ্ট্র নিয়ে চিন্তা করলেও দেশ স্বাধীনের চিন্তা করেনি। তার এক ইচ্ছা, এক আকাঙ্ক্ষা ছিল দেশ স্বাধীন করতে হবে। তিনি সেটা করতে পেরেছিলেন। এজন্য তিনি বাঙ্গালীর সেরা ব্যক্তি, বাঙ্গালী জাতির পিতা। তিনি ছিলেন একজন চিন্তাশীল ও কর্মের মানুষ যেটি তাকে অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি সংরক্ষণে ও সকলের কাছে তুলে ধরার জন্য জাতীয়ভাবে একটি বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণের প্রস্তাব করেন।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ও গ্রেনেড হামলায় জড়িত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করে ইবি শাখা ছাত্রলীগ।

বিবার্তা/জায়িম/তাওহীদ