সবেতনে প্রায় ২০ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়ে থাকেন এস্তোনিয়ার মায়েরা। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) হিসেবে মাতৃত্বকীলন সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে দেশটি।
সম্প্রতি ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন নর্ডিক দেশগুলোর মা ও বাবারা। ২০১৬ সালে ইউরোপের ৩১ দেশে মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি এবং চাইল্ডকেয়ারের উপর ভিত্তি করে ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।
এক্ষেত্রে এস্তোনিয়ার পরপর প্রথম সারিতে আছে পর্তুগাল, জার্মানি, ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া, লুক্সেমবুর্গ ও ফ্রান্স। আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, সাইপ্রাস, গ্রিস ও সুইজারল্যান্ড রয়েছে তালিকার নিচের দিকে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেছেন, মস্তিষ্কের উন্নয়ন ও ভবিষ্যতের ভিত্তি তৈরির করার জন্য শিশুদের জীবনের প্রাথমিক বছরগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে মা-বাবাদেরকে সন্তান জন্মের আগে-পরে সময় সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সন্তান জন্মের পর মা-বাবাদেরকে কমপক্ষে ছয় মাসের ছুটি দেয়ার সুপারিশ রয়েছে ইউনিসেফের। একইসাথে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির পূর্ব পর্যন্ত শিশুদের সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার কথা বলে আসছে তারা।
বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়ার ক্ষেত্রে এস্তোনিয়ার পরপর অবস্থান হাঙ্গেরির। সেখানে ৭২ সপ্তাহ ছুটি দেয়া হয়। এরপরে অবস্থানে থাকা বুলগেরিয়ার মায়েরা ছুটি পেয়ে থাকেন ৬৫ সপ্তাহ। তালিকার নিচের দিকে থাকা যুক্তরাজ্যে ১২ সপ্তাহ এবং সুইজারল্যান্ডে ৮ সপ্তাহ ছুটি পেয়ে থাকেন মায়েরা।
জার্মানিতে ৪৩ সপ্তাহ বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং ৫ দশমিক ৭ সপ্তাহ পিতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া হয়। দেশটির চাইল্ডকেয়ারে ভর্তির সুযোগ পায় তিন বছর বয়সি ৩৩ শতাংশ শিশু।
বাবাদের পর্তুগালে ১২ দশমিক ৫ সপ্তাহ, সুইডেনে ১০ দশমিক ৯ সপ্তাহ এবং লুক্সেমবুর্গে ১০ দশমিক ৪ সপ্তাহ পিতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া হয়ে থাকে। চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া, আয়ারল্যান্ড, সাইপ্রাস ও সুইজারল্যান্ডে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতনসহ পিতৃত্বকালীন ছুটি দিলে তা সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং শিশুদের স্বাস্থ্য ও বেড়ে উঠায় ভূমিকা রাখে। একইসাথে তা মায়েদের বিষণ্নতা কমাতেও সাহায্য করে।
বেতনসহ পিতৃত্বকালীন ছুটি দেয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হওয়ার জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে ইউনিসেফ। কারণ অনেকে আর্থিক চাপ অনুভব করার কারণে ছুটি নিতে চান না।
তিন বছর পর্যন্ত শিশুদের ৭০ শতাংশ চাইল্ডকেয়ার পেয়ে থাকে ডেনমার্কে। আইসল্যান্ডে এই সংখ্যা ৬৫ শতাংশ এবং নেদারল্যান্ডসে ৫৩ শতাংশ। অন্যদিকে গ্রীসে এমন শিশুদের ৯ শতাংশ, চেক রিপাবলিকে ৫ শতাংশ ও স্লোভাকিয়ায় ১ শতাংশ চাইল্ডকেয়ার সুবিধা পায়।
আইসল্যান্ড ও বেলজিয়ামে ৯৯ শতাংশ এবং সুইডেনে ৯৭ শতাংশ তিন বছর বয়সি শিশু চাইল্ডকেয়ার সুবিধা পায়। এই তালিকায় নিচের দিকে থাকা রোমানিয়ায় ৬১ শতাংশ, গ্রিসে ৫৬ শতাংশ ও ৩১ শতাংশ শিশু পায় এই সুবিধা। সূত্র: ডয়চে ভেলে
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]