ঠিক যেন একটা মস্ত ফটোফ্রেম। কিন্তু আসলে এটা একটা বাড়ি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের এই বাড়িটিকে সরকারিভাবে বলা হয়, দুবাই ফ্রেম।
চলতি বছরে ৩০ এপ্রিল দুবাই মিউনিসিপ্যালিটি এর জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের প্রশংসাপত্র পেয়েছে।
এই বাড়িটি দুবাইয়ের জাবিল পার্কে অবস্থিত। এটির ছাদ থেকে নতুন ও পুরনো দুবাই শহর দেখা যায়। ২০১৩ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি এটি সবার জন্য খুলে দেয়া হয়।
সাধারণের জন্য সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে এটি। বিল্ডিংয়ের অবজারভেশন ডেকে যেতে গেলে টিকিট কাটতে হয়। বড়দের জন্য দুবাইয়ের টাকায় ৫০ দিরহাম (বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ১৪৮) ও তিন বছরের ওপর শিশুদের ২০ দিরহাম (৪৫৯ টাকা) দিতে হয়।
তিন বছরের কম বয়সের শিশু ও ৬৫ বছরের বেশি ব্যক্তিদের বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা রয়েছে।
ভবনটি উচ্চতায় ১৫০.২৪ মিটার। ৫০তলা বাড়িটির গ্লাস টাওয়ারটি প্রায় ৫০০ ফুট লম্বা দু’টি ফ্রেম দিয়ে এই তৈরি। বিশ্বের বৃহত্তম ফ্রেমও এটি। দু’টি টাওয়ার সংযুক্ত রয়েছে একটি কাচের সেতুর মাধ্যমে। এর ফলে গোটা শহরের ‘প্যানোরামিক ভিউ’ পাওয়া যায়। দেখা যায় কারামা, দেইরা, বুর দুবাই ও এমিরেটস টাওয়ারও।
তবে শুধু কাচ নয়, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, রিএনফোর্সড কংক্রিটও ব্যবহার করা হয়েছে দুবাই ফ্রেমে। স্থপতি ফার্নান্দো দোনিস এই বিল্ডিংয়ের নকশা করেন। তিনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পুরস্কৃতও হয়েছেন এর জন্য।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন আদালতে দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দোনিস। কপিরাইট, খরচ-সহ নানা অভিযোগ আনেন তিনি।
দোনিস বলেছিলেন, তারই প্রকল্প চুরি করে, নকশা বদলে তাকে বাদ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ফ্রেম।
দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির মহাপরিচালক দাউদ আব্দুল রহমান আল হাজিরি বলেছেন, দুবাই ফ্রেম খুলে দেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চার লাখ ৬৬ হাজার পর্যটক এটি পরিদর্শন করেছেন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা ও গালফ নিউজ
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]