শিরোনাম
৪০ বছর পর পুনরাবিষ্কৃত দৈত্যাকার মৌমাছি
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:২৫
৪০ বছর পর পুনরাবিষ্কৃত দৈত্যাকার মৌমাছি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রায় ৪০ বছর পরে পুনরাবিষ্কৃত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দৈত্যাকার মৌমাছি।


শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার একটি দূরবর্তী অংশে দেখা যায় সবচেয়ে বড় মৌমাছি। দৈত্যাকার এই মৌমাছি সাধারণত ‘উড়ন্ত বুলডগ’ নামেই পরিচিত, এর আকার প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের বুড়ো আঙুলের মতো।


বিশ্ব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বলা হয়েছে, ১৯ শতকে ব্রিটিশ প্রকৃতিবিদ অ্যালফ্রেড রাসেল ওয়ালেস এই দৈত্যাকার মৌমাছিটি আবিষ্কার করেন এবং নাম দেন ‘উড়ন্ত বুলডগ' (flying bulldog)।


মৌমাছি ফটোগ্রাফার বিশেষজ্ঞ ক্লে বোল্ট যিনি এই বিশাল মৌমাছির ছবি তোলেন, বলেন, জীবন্ত এই বিশাল মৌমাছি আদতে কতটা সুন্দর, এর বিশাল ডানার আওয়াজ কতটা অসাধারণ সেসব প্রত্যক্ষ করাই বড় অভিজ্ঞতা।


উত্তর মোলুক্কাসের ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপ অঞ্চলের বাসিন্দা এই মৌমাছির পুরো নাম মেগাচাইল প্লুটো তার বিশাল শুঁড় দিয়ে ছত্রাক থেকে বাসাকে রক্ষা করার জন্য চটচটে রেজিন সংগ্রহ করে। আইইউসিএন-এর লাল তালিকায় এই মৌমাছিকে ‘বিপন্ন' হিসেবেই রাখা হয়েছে। এই মৌমাছি সংখ্যায় নেহাত কম না হলেও তাদের এমন প্রান্তিক দুর্গম অঞ্চলে পাওয়া যায়। এসব অঞ্চলে বেশ কয়েকটি পূর্ববর্তী অভিযান এই মৌমাছি খুঁজতে ব্যর্থই হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়া প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিদ এবং প্রাণীর আবাসস্থল। কিন্তু কৃষির জন্য যে পরিমাণে জমি কাটা হচ্ছে তাতে অনেক প্রজাতির প্রাণী ও কীটপতঙ্গ সম্প্রদায়ের প্রাকৃতিক আবাস চিরতরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।


প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টোমোলোজিস্ট এলি ওয়াইম্যান বলেন, আশা করি এই পুনরাবিষ্কার ভবিষ্যতের গবেষণাকে সমৃদ্ধ করবে। যা এই অনন্য মৌমাছিটির ইতিহাস সম্পর্কে আরো গভীরভাবে জানতে সাহায্য করবে এবং বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টাকেও সমৃদ্ধ করবে।


বিবার্তা/আকবর/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com