জার্মানি দেশটার নাম আমরা সবাই জানি। একসময় হিটলারের দেশ বলেই জানতো মানুষ। এখন জানে, লম্বাচওড়া স্বাস্থ্যবান সুদর্শন মানুষের দেশ, বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ বলে।
কিন্তু জার্মানদেশের মানুষজন সম্বন্ধে খুব কমই জানি আমরা - কেমন মানুষ তারা, কী খেয়ে বেঁচে থাকে। আজ তাই এ সম্বন্ধে দু'-চার কলম।
জার্মানদের সকালের নাস্তায় থাকে রুটি, টোস্ট অথবা মাখন সহযোগে ব্রেড রোল, স্লাইস করে কাটা ঠাণ্ডা মাংস, চীজ, জ্যাম (সচরাচর যাকে মারমালেড বলা হয়), মধু ও সিদ্ধ ডিম। আর নাস্তার পর পানীয় হিসেবে জার্মানরা পান করে থাকে কফি, চা, দুধ গরম বা ঠাণ্ডা কোকো অথবা ফ্রুট জুস। এগুলো হলো জার্মানদের সকালের নাস্তার টেবিলের কমন আইটেম। এর বাইরে তারা হ্যাম বা শূকরের মাংস, নোনা মাংস, লিভার দিয়ে তৈরি সসেজ এসব নানা কিছু খেয়ে থাকে। দেশটির বেকারিগুলো সকালে স্যান্ডউইচ বেশ বিক্রি করে থাকে। কেননা, অফিসমুখো অনেকেই সেগুলো কেনে।
জার্মানদের দিনের প্রধান খানাপিনা হলো মধ্যাহ্নভোজ বা দুপুরের খাবার। এটা ঠিক দুপুরেই খেয়ে নেয় তারা এবং পেটভরেই খায়। আর ডিনার বা নৈশভোজ হয় সাধারণ - কেবল কোনো একরকম রুটি, মাংস বা সসেজ অথবা স্যান্ডুইচ আর খানিকটা বিয়ার।
খানাপিনার ক্ষেত্রে ইংরেজদের সাথে জার্মানদের একটা মিল আছে, সেটা হলো বৈকালিক চা। বিকেল ৫টার দিকে এ পর্ব চলে। রবিবার অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জার্মানরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে এ পর্বটি সম্পন্ন করে।
তবে চিরকাল যে একভাবে যায় না, কথাটি জার্মানদের বেলায়ও সত্য। গত ৫০ বছরে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো জার্মানদের খাদ্যরীতিতেও এসেছে পরিবর্তন। যেমন, আজকাল অনেকেই দুপুরে কাজের মাঝখানে ভারি খাবার খায় না। দুপুরের খাবারটাকে তারা অনেকটা নাস্তার মতোই হাল্কা বানিয়ে ফেলেছে। তার বদলে রাতের খাবারটাকেই তারা প্রধান খাবার করে নিয়েছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এটাই তারা এখন আয়েশ করে খায়।
তবে এ পরিবর্তনের হাওয়ায় সবাই যে গা ভাসিয়ে দিয়েছে, তা কিন্তু নয়। গ্রাম-শহরের অনেক মানুষ এখনো ঐতিহ্যবাহী নিয়মের আনুগত্য করে।
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]