শিরোনাম
পত্রমিতালী : এক নস্ট্যালজিয়ার নাম
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৮
পত্রমিতালী : এক নস্ট্যালজিয়ার নাম
প্রিন্ট অ-অ+

চিঠি এবং চিঠিতে বন্ধুত্ব বা পত্রমিতালী - আজকের দিনে প্রায় অচেনা একটা বিষয়।


কিন্তু ৯০-এর দশক পর্যন্ত পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও চিঠি ছিল অজানা-অচেনা কারো সাথে বন্ধুত্ব করার এক মাধ্যম।


১৯৮০ ও ৯০এর দশকে বাংলাদেশের প্রায়-সব দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রায়-প্রতিদিনই বন্ধুত্বের প্রত্যাশায় নাম ও ঠিকানা দিয়ে ছোট ছোট বিজ্ঞাপন ছাপা হতো, বিশেষ করে ম্যাগাজিনগুলোতে।


দৈনিক পত্রিকায় একটু কমই, কিন্তু ম্যাগাজিনগুলোতে বেশি থাকতো এ ধরনের বিজ্ঞাপন। কখনো আধা পৃষ্ঠা পুরোই বিজ্ঞাপন থাকতো। সেসময় সন্ধানী বা বিচিত্রার মতো নামী ম্যাগাজিন ছিল, তাতেও থাকতো। একটা ট্যাবলয়েড ছিল, তাতে প্রচুর এ ধরনের বিজ্ঞাপন থাকতো। বিশেষত ছাত্রছাত্রীরাই এমন বিজ্ঞাপন দিতে বেশি।


প্রযুক্তির কারণে এখন মানুষের মধ্যে হাতে লেখা চিঠির প্রবণতা অনেক কমে গেছে।


তবে চিঠি লেখা নিয়ে, বিশেষ করে পত্রমিতালী নিয়ে পুরো বিশ্বেই নানা ধরনের গল্প আছে। লেখক অদিতি ফাল্গুনী বলেন, "আমরা যে সময়টাতে বড় হয়েছি, আমাদের চারপাশে এমন প্রচুর ঘটনা দেখেছি। বড় ভাইবোন তাদের বন্ধুবান্ধব অনেকেরই পত্রমিতা ছিল। অজানা অদেখা যে সে চিরসুন্দর, চির রহস্যময়। তার টান একটা ব্যাপার। তবে, সেসময় চিঠি লিখতে লিখতে ছেলেমেয়েরা দুটি উদ্ধৃতি দিত, তিনটা কবিতা পড়তো, হাতের লেখা সুন্দর করার একটা চেষ্টা থাকতো।"


এই বন্ধুত্বের বাহন ছিল ডাক বিভাগ। জেলা থেকে জেলায়, কখনো ভিন দেশেও বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে যেত ডাক হরকরারা। প্রযুক্তির অগ্রগতি মানুষকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এক দ্রুতগামী জীবনে, যেখানে হৃদয়ের উষ্ণ আবেগ নিয়ে আসা একেকটি চিঠি এখন কেবলই এক নস্টালজিয়া। সূত্র : বিবিসি


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com