কাশফুল শরৎকালে হয়। কিন্তু গরমকাল এখনো শেষ হয়নি ইরানের রাজধানী তেহরানে। শরৎ বা হেমন্ত আসতে এখনো ঢের বাকি। এরই মধ্যে তেহরানে ফুটতে শুরু করেছে 'গোলে নেই' মানে বাংলাদেশের কাশফুল।
নগরীর সৌন্দর্যচর্চার অংশ হিসেবে তেহরানে সড়কদ্বীপ বা রাস্তার পাশে অন্যান্য ফুলের সঙ্গে কাশফুলের গাছও লাগানো হয়। চার ঋতুর দেশটিতে শীতকালেও দেখা মেলে কাশফুলের। বৃষ্টি ও বরফ মাথায় নিয়ে তুলনামূলক ভাবে ম্রিয়মাণ হয়ে দুলতে থাকে তারা।
তেহরানের পশ্চিম বুলভারে (বুলেভার্ড) ফেরদৌসির শাকায়েকের চৌরাস্তা থেকে যে অংশ মহাসড়ক হাকিমের দিকে চলে গেছে তারই সড়ক দ্বীপ থেকে তোলা হয়েছে কাশফুলের এসব ছবি।
তেহরানের সড়ক দ্বীপে কাশফুল
হাকিম, চামরান, ওয়লিআস্রসহ তেহরান নগরীর অনেক প্রধান সড়ক সড়কের পাশেই দেখা যাবে কাশফুলের অমলিন শোভা। বসন্তে তেহরান ফুলে ফুলে ভরে ওঠে ছড়িয়ে দেয় শুভ্র হাসি। তখন কিন্তু এ নগরীতে দেখা মেলে না কাশফুলের।
ছন গোত্রের একজাতীয় ঘাস কাশফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum spontaneum। কাশফুলের বেশ কিছু ভেষজ গুণ আছে - সে কথাও অনেকেই জানেন। পিত্তথলিতে পাথর হলে নিয়মিত গাছের মূলসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করে পান করলে সে পাথর দূর হয়। কাশমূল বেঁটে চন্দনের মতো নিয়মিত গায়ে মাখলে গায়ের দুর্গন্ধ দূর হয়। এছাড়াও শরীরে ব্যথানাশক ফোঁড়ার চিকিৎসায় কাশের মূল ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে উইকিপিডিয়া। সূত্র : পার্সটুডে
বিবার্তা/হুমায়ুন/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]