শিরোনাম
এক অদম্য সউদি নারী
প্রকাশ : ০১ মে ২০১৮, ১৯:৪৪
এক অদম্য সউদি নারী
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই - এ প্রবাদকে সত্য প্রমাণ করতেই বুঝি বা পরিণত বয়সে পরীক্ষার হলে বসা কিংবা ডিগ্রি অর্জনের খবর মাঝেমধ্যেই পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়। এমন ঘটনা পাশ্চাত্যে যেমন ঘটে, তেমনি আমাদের দেশেও। কিন্তু সউদি আরবের মতো রক্ষণশীল একটি দেশে, তাও একজন নারী এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবেন, তাও কি ভাবা যায়?


ভাবা না-গেলেও তা-ই ঘটেছে। এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন যে সউদি গৃহবধূ, তিনি হলেন সালেহা আসিরি। সালেহা সম্প্রতি আবহা'র কিং খালিদ ইউনিভার্সিটি থেকে মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স-এ গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। একই সময়ে তাঁরই কন্যা মারাম গ্র্যাজুয়েশন করেছেন ব্যবসা প্রশাসনে। অর্থাৎ মা ও মেয়ে একই বছর গ্র্যাজুয়েট হলেন।


কেন এমন হলো? সালেহা জানান, অতি অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তাঁর লেখাপড়ায় ছেদ পড়ে। এমনকি ওই সময় তিনি হাই স্কুলের পড়াশোনাও শেষ করেননি। বিয়ের পর তাঁকে চলে যেতে হয় স্বামীর কর্মস্থল ইস্টার্ন প্রভিন্সে। তারপর কোলে আসে সন্তান। এতোসব প্রতিবন্ধকতার মাঝে লেখাপড়ার সুযোগ কোথায়?


কিন্তু সালেহা অদম্য। আর লেখাপড়াও তাকে শুধুই হাতছানি দেয়। এদিকে তাঁর মেয়ে যখন মিডল স্কুল পাস করলো, সালেহার মা সালেহাকে আবার লেখাপড়া শুরু করতে উৎসাহ দিতে থাকলেন। সালেহা বলেন, আমি একজন গৃহবধূ, মাথার ওপর সংসারের এতো বোঝা, তবুও মায়ের কথায় আমি সাহস পেলাম। আবার পড়াশোনা শুরু করলাম।


এবার সালেহা নাম লেখালেন মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ফ্যাকাল্টিতে। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, যেদিন কলেজে পা রাখলাম, দিনটিকে মনে হচ্ছিল যেন কোনো উৎসবের দিন।


সালেহা বলেন, মা আমাকে অনেক উৎসাহ দিতেন। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, আমার গ্র্যাজুয়েট হওয়াটা তিনি দেখে যেতে পারলেন না। গত বছর তিনি মারা গেছেন।


তিনি বলেন, আমার ও তার বান্ধবীরাও আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। সূত্র : আল আরাবিয়া ইংলিশ


বিবার্তা/হুমায়ুন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com