শিরোনাম
মানবসদৃশ বানর হিউম্যানজি আছে, দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীর
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২১:২২
মানবসদৃশ বানর হিউম্যানজি আছে, দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীর
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

কথা বলা বানর সম্পর্কে এতদিন হিন্দুধর্ম গ্রন্থ রামায়ণে শোনা গিয়েছিল। বাস্তবে কথা বলা বানর দেখতে পাওয়া যায়নি। মানুষের মত কথা বলা বানর নিয়ে হলিউডে সাইন্সফিকশন সিনেমা নির্মাণ হয়েছে। তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন।


যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী মানুষের মত বানর জন্ম নেয়ার কথা জেনেছেনবলে দাবি করেছেন। বিজ্ঞানীর নাম গর্ডন গ্যালপ। তিনি একজন প্রখ্যাত ইভুলুশনারি সাইকোলজিস্ট।


গ্যালপের মতে ১০০ বছর আগে তার সাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের পরীক্ষাগারে এই বানরের জন্ম হয়েছিল। তিনি ওই বানর দেখে ভয় পান। বানরটিকে হত্যা করেন তিনি। ১৯২০ সালে ফ্লোরিডার অরেঞ্জ পার্কে এই ঘটনা ঘটে। ওখানেই ওই অধ্যাপকের পরীক্ষাগার ছিল।


তিনি বলেন, ধারণা করা হয় ওই অধ্যাপক একটি নারী শিম্পাঞ্জির সঙ্গে কৃত্রিমভাবে পুরুষের শুক্রাণুর নিষিক্তকরণ ঘটিয়েছিলেন। এতে ওই শিম্পাঞ্জি গর্ভবতী হয়। যে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তা অর্ধেক মানব অর্ধেক বানর। ওই শিম্পাঞ্জিকে কোন পুরুষের শুক্রাণু দিয়ে গর্ভবতী করা হয়েছিল সেটা প্রকাশ করেননি তিনি। তবে শিম্পাঞ্জিটি পুরো গর্ভকালীন সময় কাটিয়ে সন্তান জন্ম দেয়। দ্যা সান কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন গ্যালপ।


তিনি আরো বলেন, ওই শিম্পাঞ্জি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। মানুষের মত আচরণ করতে শুরু করে। কিন্তু শিশু অবস্থায় তার অসুখ হয়। তাকে অসুস্থতা থেকে মুক্তি দিতে মেরে ফেলা হয়।


গ্যালাপ বলেন, যিনি আমাকে এসব কথা বলেন তিনি একজন বিজ্ঞানী। তার বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। ওই বিজ্ঞানী এই গবেষণার পর নিজের স্থান বদল করে জর্জিয়া চলে যান। সেখানকার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন গবেষণাগার তৈরি করেন। এটি আটলান্টাতে। ১৯৩০ সালের ঘটনা।


বানরের ওপর মানুষের শুক্রাণু নিষিক্তকরণের এই পরীক্ষা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরাই করেননি। সমকালীন সময়ে রাশিয়ার বিজ্ঞানীরাও এই ধরনের পরীক্ষা চালান। তাদের মধ্যে বিজ্ঞানী ইলিয়া ইভানোভিচ ইভানভ অন্যতম। যিনি ১৯২০ সালে শিম্পাঞ্জির ওপর ধারাবাহিক গবেষণা চালান।


তিনি পুরুষের শুক্রাণু দিয়ে বহুবার নারী শিম্পাঞ্জিকে গর্ভবতী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একবারের জন্যও কোনো শিম্পাঞ্জি গর্ভবতী হয়নি।


ইভানব হিউম্যানজি তৈরি করার জন্য এর উল্টোটারও পরীক্ষা চালান। মানে বানরের শুক্রাণু দিয়ে তিনি নারীকে গর্ভবতী করতে চেষ্টা করে। সে চেষ্টাতেও তার সফলতা আসেনি।


তবে ১৯৫৮ সালে ওলিভার নামের একটি শিম্পাঞ্জিকে মানুষের মত দেখা গিয়েছিল। তার অনেক কিছুই মানুষের মত। ধারণা করা হয় ওলিভার হিউম্যানজি ছিল।


ওলিভারকে নিয়ে সেসময় তুমুল বিতর্ক হয়। পরে এ নিয়ে মীমাংসা করতে ওলিভারের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ডিএনএন পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ওলিভারের ৪৮ ক্রোমোজোম ছিল। যেটা একটি শিম্পাঞ্জির স্বাভাবিকভাবে থাকা উচিত।


তবে তখন দাবি করা হয়েছিল ওলিভারের ৪৭ ক্রোমোজোম।


প্রসঙ্গত, মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যা ৪৬। আর শিম্পাঞ্জি ৪৮। তাদের মধ্যে ছিল ৪৭। যাকে হিউম্যানজি বলে দাবি করা হয়েছিল।


ওলিভার ২০১২ সালে মারা যায়। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। সূত্র : দ্যা মিরর অনলাইন


বিবার্তা/সুমন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com