কি অবাক হলেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। আসলেই ইন্দোনেশিয়ায় বর্জ্যের বিনিময়ে খাবার পাওয়া যায়। পুরাতন প্লাস্টিক সামগ্রী দিয়ে মিলবে রেস্টুরেন্টের সুস্বাদু খাবার!
প্লাস্টিকের বোতল বা প্লাস্টিকজাত সামগ্রী এখন আর ফেলনা নয়। ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতল দিয়ে নতুন বোতল কিংবা খেলনা দিয়ে নতুন খেলনাসহ পুরাতন প্লাস্টিক দিয়ে এখন অনেক কিছুই বানানো হয়।
সারিমিন ও সাওতামি। ষাটোর্ধ্ব এই দম্পতির বসবাস ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে। জীবনের অধিকাংশ সময় তাদের কেটেছে ময়লার ভাগাড় থেকে প্লাস্টিকের সামগ্রী সংগ্রহ করে। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এই কাজ করে আসা এই দম্পতি এখন আর আগের মতো কাজ করেন না। দিনের অধিকাংশ সময় তাদের কাটে কর্মহীনতায়।
নিজেদের এই কর্মহীনতা ঘোচাতে এবং স্থানীয় দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কিছু করার তাগিদ থেকেই তারা একটি খাবারের দোকান চালু করেছেন। যেখানে টাকা নয় ময়লার ভাগাড় থেকে সংগ্রহ করা প্লাস্টিকের সামগ্রী দিলেই মিলবে খাবার। এতে করে একদিকে যেমন ময়লা সংগ্রহ করে বেঁচে থাকা মানুষের অন্নের সংস্থান হবে সঙ্গে পরিবেশেরও উপকার হবে।
হোটেলটিতে খাবারের দাম ঠিক করা হয়েছে চল্লিশ সেন্ট থেকে আশি সেন্টের মধ্যে। ফলে ত্রিশ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই হোটেলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খুব সহজেই অন্নের সংস্থান হবে।
চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সারিমিন ও সাওতামি বলেন, প্রতিদিন জাভার এই ময়লার ভাগাড়ে কয়েক টন প্লাস্টিকের পুরাতন সামগ্রী জমা হয়। কিন্তু অপসারণের অভাবে তা বিশাল এক পাহাড়ে পরিণত হয়। আমরা আমাদের উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিদিন কম করে হলেও এক টন প্লাস্টিক সরাতে পারব। ফলে স্থানীয় দরিদ্র মানুষেরা যেমন খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে তেমনি পরিবেশের উপকারও হবে।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]