শিরোনাম
নতুন ''দেশ'' কিংডম অব দীক্ষিত
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৪৩
নতুন ''দেশ'' কিংডম অব দীক্ষিত
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

একটা গোটা দেশের মালিক তিনি। নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে সে দেশের রাজধানীর নামও তিনি রেখেছেন সুযশপুর। তিনিই সেখানকার শাসক, আর প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাবা। জাতীয় পশু টিকটিকি।


তিনি সুযশ দীক্ষিত। জন্মসূত্রে ভারতীয়। মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের বাসিন্দা। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষ। আর অ্যাডভেঞ্চারের নেশাই তাঁকে ‘মালিক’ করে তুলেছে আস্ত একটি দেশের। যার নাম সুযশ নিজেই দিয়েছেন—‘কিংডম অব দীক্ষিত’।


ঘটনার শুরুটা অ্যাডভেঞ্চারের হাত ধরেই। মরুভূমির ভিতর দিয়ে প্রায় ৩১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সুযশ। পৌঁছেছিলেন মিশর ও সুদানের ঠিক মাঝের এক ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’। দক্ষিণ মিশর এবং উত্তর সুদানের মরুভূমির মধ্যে প্রায় ২ হাজার বর্গমাইল জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এ অঞ্চলের নাম বীর তাওয়িল। জনবসতিহীন এই অঞ্চল এখনও পর্যন্ত কোনো দেশ বা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুযশ এখন নিজেকে সেই অঞ্চলেরই শাসক বলে দাবি করছেন।


একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সিইও সুযশ গত ৬ নভেম্বর তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘‘আমি নিজেকে ‘কিংডম অব দীক্ষিত’-এর রাজা ঘোষণা করছি। আজ থেকে আমি রাজা সুযশ। বীর তাবিলের এই দাবিদারহীন অঞ্চল আজ থেকে আমার দেশ।’’


আস্ত একটা ‘দেশ’ আবিষ্কার করতে তাঁকে যে কঠিন কসরত করতে হয়েছে, সে কথাও ফেসবুকে লিখেছেন সুযশ। তিনি লিখেছেন, “মিশরীয় সেনার দখলে থাকা রাস্তা ধরে সফর করছিলাম। গোটা এলাকাটা উগ্রপন্থীদের আখড়া। সেজন্য ওই এলাকায় ‘দেখামাত্র গুলি’র নির্দেশও দেয় সেনা। অনেক পরিকল্পনা করে, বেশ কয়েক জায়গায় অনুমতি নিয়ে সেখানে পৌঁছতে পেরেছিলাম।’’


ওই অঞ্চলে টানা ৬ ঘণ্টা ছিলেন সুযশ। ‘কিংডম অব দীক্ষিত’-এ দাঁড়িয়ে পতাকা তোলেন তিনি। জায়গাটিকে নিজের দেশ হিসেবে দাবি করতে, সেখানকার মাটিতে শস্যদানা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সুযশ। কেন? সুযশের কথায়, ‘‘প্রাচীন সভ্যতায় কিছু নিয়ম ছিল। কোনো জমির মালিকানা দাবি করতে সেখানে ফসল ফলাতে হয় মালিককে। সে কারণেই আমি আমার দেশের জমিতে শস্য ছড়িয়ে, তাতে জল দিয়েছি। এ দেশ এখন আমার।’’


নিজের আবিষ্কার করা ‘দেশ’-এর একটি ওয়েবসাইটও খুলেছেন সুযশ। তাঁর কথায়, ‘‘এখন আমি রাজা। ঠাট্টা নয়, কেননা একটা গোটা দেশের মালিক এখন আমি। জাতিসংঘে এবার একটা ই-মেল পাঠানোর সময় এসে গিয়েছে।’’


বাবার জন্মদিনে দেশটির খোঁজ পেয়েছিলেন সুযশ। তাই, বাবা সুযোগ দীক্ষিতকেই ‘কিংডম অব দিক্ষিত’-এর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন সুযশ। এটাই বাবাকে জন্মদিনে দেওয়া তাঁর উপহার।


তবে, এ ব্যাপারে জাতিসংঘের কোনো মতামত জানা যায়নি। সুযশ কবে জাতিসংঘে চিঠি পাঠাবেন, জানা যায়নি তা-ও। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com