শিরোনাম
বিখ্যাতদের মজার জবাব
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৭, ১০:৪৪
বিখ্যাতদের মজার জবাব
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বিখ্যাত লেখক অস্কার ওয়াইল্ড ছিলেন যেমনি রসিক তেমনি বাকপটু। তিনি একবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডিভভারস’ বিষয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। পরীক্ষক তাকে গ্রীক ভাষায় লেখা ‘নিউ টেস্টামেন্ট’ থেকে ‘প্যাশন’ অংশের কয়েক লাইন অ.নুবাদ করতে বললেন। ওয়াইল্ড নির্ভুলতার সাথে দশ বারো লাইন অনুবাদ করার পর পরীক্ষক সন্তুষ্ট হয়ে বললেন ‘ঠিক আছে আর করতে হবে না।’ ওয়াইল্ড পরীক্ষকের কথা যেন শুনতেই পাননি এমন ভাব করলেন। এক পৃষ্ঠা অনুবাদ করে ফেলার পর পরীক্ষক রাগান্বিত হয়ে বললেন ‘আরে থামুনতো। বাকিটা অন্যরা অনুবাদ করবে।’ ওয়াইল্ড মিনতি জানিয়ে বললেন ‘স্যার, প্লিজ গোটা অংশটাই আমাকে অনুবাদ করতে দিন। বাড়তি অনুবাদ করার জন্য আমাকে বাড়তি কোন মার্কস দিতে হবে না। গল্পটা জানার আমার ব্যপক আগ্রহ হচ্ছে।’ তবে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন ওয়াইল্ড হয়তো পরবর্তীতে এ অনুবাদটিকে বই আকারে প্রকাশ করার ধান্দায় ছিলেন।


বিখ্যাত রম্য সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন একবার কোথাও যাবার জন্য ট্রেনে চেপে বসেছিলেন। সে সময় আমেরিকান ট্রেনগুলি শম্বুক গতিতে চলতো। লেট করতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সকাল আটটার ট্রেন বিকেল আটটায় আসবে কিনা সে বিষয়ে সবাই থাকতো সন্দিহান। এক সময় কামরায় উঠল টিকিট চেকার। মার্ক টোয়েন গম্ভীর মুখে চেকারের দিকে একটা হাফ টিকিট বাড়িয়ে দিলেন। টিকিট চেকারতো পুরো অবাক! তাঁর প্রশ্ন কি মশাই, আপনি হাফ টিকিট কেটেছেন কেন? গোঁফ-মাথার চুল সবইতো সাদা। আপনি কি জানেন না চৌদ্দ বছরের বেশি হলে তার বেলায় আর হাফ টিকিট চলে না? মার্ক টোয়েনের সোজা সাপ্টা জবাব, যখন ট্রেনে চড়েছিলাম তখনতো বয়স চৌদ্দই ছিল। কে জানতো ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছতে এতো লেট করবে!


এলাকার অন্যতম ধনী দেব নারায়ণ দে’র বাড়িতে একটা বড়সড় অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। লেখা হচ্ছিল দেনাপাওনা ও খরচাপাতির ফর্দ। সেখানে উপস্তিত ছিলেন রসিক লেখক প্যারীচাঁদ মিত্র। খরচের ফর্দ দেখে প্যারীচাঁদ মিত্র বললেন ‘একি মিষ্টান্নের জন্য এতো কম টাকা? ব্রাহ্মণকেও তো তেমন দেয়া হচ্ছে না। এসব খরচ কিছু বাড়িয়ে দিন।’


দেব নারায়ণ বললেন, প্যারীচাঁদ বাবু, আপনি শুধু খরচ বাড়াতে বলছেন। টাকাটা কে দেবে শুনি?’ প্যারীচাঁদ মিত্রের তড়িৎ জবাব- ‘কেন, আপনি দেবেন। আপনার নামের আগে দে, নামের পরেও দে। দিতে আপনাকে হবেই।’


লেখক বঙ্কিম চন্দ্র এবং দীনবন্ধু মিত্র দুজনে ছিলেন পেয়ারা বন্ধু। দীনবন্ধু ডাক বিভাগে কাজ করতেন। আর সে সুবাদে তাকে প্রায়ই ঘুরে বেড়াতে হতো বিভিন্ন অঞ্চলে। একবার আসামে গিয়ে সেখান থেকে বঙ্কিম এর জন্য কাপড়ের একজোড়া জুতো কিনে এনেছিলেন। লোক মারফত সে উপহার বঙ্কিমের কাছে পাঠিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে একটা চিরকুটে লিখে দিলেন-’জুতো কেমন হয়েছে জানিও।’ বঙ্কিম চিরকুটটি পড়ে হাসলেন। তারপর তার উত্তরে লিখে দিলেন ‘ঠিক তোমার মুখের মতো!’


একদিন সকালে বৈঠকখানায় বসে লেখালেখি করছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। হঠাৎ সেখানে এসে হাজির হলো পাড়ার এক মাতাল ব্রাহ্মণ।


ব্রাহ্মণ: ‘বাবা দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর, গরীব বামুনকে দশটা টাকা দাও, একটু দেশী মাল কিনে খাই।’


বিদ্যাসাগর: ‘দূর হয়ে যা আমার সামনে থেকে। আমি কোন মাতালকে টাকা দেই না।’


ব্রাহ্মণ: ‘তুমিতো মাইকেল মধুসূদনকে নিয়মিত টাকা দাও। সেই টাকা দিয়ে সে বিদেশী মাল খায় আর আমি দেশী মাল খাবো তাও তুমি টাকা দেবে না?’


বিদ্যাসাগর: ‘তোমাকেও দিতুম, যদি তুমি ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের মত একটা বই লিখতে পারতে!’


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com