শিরোনাম
ডারুয়িনের বইটার মূল নাম জানেন?
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০১৭, ১০:৩৯
ডারুয়িনের বইটার মূল নাম জানেন?
জিয়াউদ্দিন সাইমুম
প্রিন্ট অ-অ+

এসব তথ্য আমি স্কুল জীবনে থাকতে সংগ্রহ করেছিলাম। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে একটা ফাইলে তথ্যগুলোর লিখিত কপি পেলাম। বিবার্তায় আমার সাবেক কলিগ জেসমীন জেমি তথ্যগুলো কষ্ট করে কম্পোজ করে দিয়েছিলেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আলসেমির কারণে দীর্ঘদিন তা পড়ে দেখার সময় পাইনি। বিবার্তা পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো:


❏ আদি নাম: বিবর্তানবাদের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী চার্লস ডারউয়িনের যুগান্তকারী বই ‘The origin of Species’ প্রকাশিত হয় ১৮৫৯ সালে। এটা বইটির আদি নাম ছিল: ‘The origin of Species by Means of Natural Selection of the Preservation of Favoured Races in the Stauggle for Life.’


❏ অর্ধগ্লাস মদ: প্রাচীন আরবরা ছিল মদের ভক্ত। তাদের ভাষায় মদের উপনাম ছিল প্রায় আড়াইশো। দুনিয়ার অন্য কোনো ভাষায় মদের এতো উপনাম নেই। এটা ছিল মদের প্রতি আরবদের আসক্তির প্রমাণ। ইতিহাসে রয়েছে, মাত্র অর্ধগ্লাস মদের জন্য পবিত্র ক্বাবা-শরীফকে বিক্রি করা হয়েছিল। আর ইসলামে মদ নিষিদ্ধ ঘোষণার দিন মক্কায় এতো বেশি মদ মাটিতে ঢালা হয়েছিলো যে, ছোট খাটো নহর বয়ে গিয়েছিল।


❏ রত্নগর্ভা ভাগ্যহীনা: ভূমধ্যসাগরের কর্সিকা দ্বীপে ১৭৫০ সালে ম্যারি লা তিসিয়া ক্যামোলিনা জন্মগ্রহণ করেন। কার্লো বোনাপার্টের সংগে তার বিয়ে হয়। তাদের তের সন্তানের মধ্যে চারজন হন রাজা, দু’জন হন রানী। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলেন দ্বিতীয় সন্তান নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। যিনি পরে ফ্রান্সের রাজা হন। প্রথম ছেলে জোসেফ হন স্পেনের রাজা। জোয়াম হন ওয়েস্টলিয়ার রাজা। মেয়েদের মধ্যে ক্যারোলিন হন নেপলসের রানী। এলিসা হন টসকানার রানী। আরেক ছেলে লুসিয়েন হন প্রিন্স অব ক্যাকিনো এবং আরেক মেয়ে হন ডাচেস অব গুশুটালা। এই রত্নগর্ভা রানী তার সন্তানসন্ততির সম্পূর্ণ পতনের পরও ২০ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৮৩৬ সালে ৮৬ বসর বয়সে তিনি মারা যান। ঐতিহাসিকরা তাই তাকে রত্নগর্ভা ভাগ্যহীনা নামে অভিহিত করেন।


❏ ১১ ইঞ্চি পানিতে: আমেরিকার শিকাগো শহরের বাসিন্দা জেমস ক্রেক। যে গভীর রাতে হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে টাইটানিক জাহাজ ডুবে শতশত যাত্রী প্রাণ হারায়, সেদিন জেমস ক্রেকও টাইটানিকের যাত্রী ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জার্মান টপের্ডোর আগাতে ‘লুসিটানিয়া’ নামক যে জাহাজ ডুবে যায়, সেদিনও তিনি ঐ জাহাজের যাত্রী ছিলেন। দুইবারে তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। কিন্তু তার মৃত্যু হয় মাত্র ১১ ইঞ্চি পানিতে। বাড়ির পাশের মাঠে জসা বৃষ্টির পানিতে তিনি পা পিছলে পড়েন এবং ওখানেই মারা যান।


❏ মাওলানা: ভারতীয় উপমহাদেশে আলেম সমাজের নামের আগে ‘মাওলানা’ শব্দটি আভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত হয় না। ‘উপাধি’ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আরববাসী আলেমদের ‘মাওলানা’ বলেন না। ‘শায়খ’, ‘ফখিলাতুশ শায়খ’ বা ‘সামাহাতুল শায়ক’ নামে ডাকেন। তুরস্কের কিছু জায়গায়ও ‘মাওলানা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।


❏ জলপ্রপাত আর কলার খোসা: পৃথিবীর অন্যতম জলপ্রপাত ‘নায়াগ্রা’ যেখানে ৩২৬ ফুট উপর থেকে পানি নিচে সরাসরি পতিত হয়। তারপর একটি সরু নদী দিয়ে দু’মাইল পথ বয়ে গিয়ে পড়ে বিরাট এক ঘূর্ণিপাকে। ১৯১১ সালে মিস্টার লিচ নামের একজন দুঃসাহসী ব্যক্তিকে পিপায় ভরে এ জলপ্রপাতের উপর থেকে নিচে ফেলে দেয়া হয়। পিপায় ভেতরে বসে মিস্টার লিচ বহাল তবিয়তে ৩২৬ ফুট নিচে পড়ে দু’ মাইল পথ বেগবতী সংকীর্ণ নদী হয়ে ঘূর্ণিপাকে পড়েন এবং সেখান থেকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে যান। কিন্তু ১৯২৭ সালের ২৯ এপ্রিল এই দুঃসাহসী লোকটি নিউজিল্যান্ডের ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় কলার খোসায় পা পিছলে পড়ে জখম হন এবং সেই জখমেই মারা যান। কোথায় নায়াগ্রার জলপ্রপাত আর কোথায় কলার খোসা!


❏ কী বোর্ড: খুব কম লোকেই জানেন, ফাউন্টেন পেন বা ঝরনা কলমের আগেই টাইপরাইটার আবিষ্কৃত হয়েছে। আবিষ্কারকের নাম ক্রিস্টোফার সোলস। টাইপ করা যে পান্ডুলিপিটি সর্বপ্রথম প্রকাশের কাছে জমা দেয়া হয়েছিল, সেটি ছিল মার্কিন সাহিত্যিক মার্ক টোয়েনের ‘টম সয়ার’। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, টাইপ রাইটারের কী বোর্ড সৃষ্টিকালে যেমন ছিল, তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। কম্পিউটারেও একই স্টাইলের সংযোজন হয়েছে (সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া)। অনেক আগে টাইপরাইটারের কী বোর্ডকে ত্রুটিপূর্ণ বলে পরিবর্তন আনার কথা হলেও যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যতটুকু পরিবর্তন এসেছে তাও বিশ্বের সব জায়গায় অনুসৃত হয় না। বলা যায় টাইপরাইটারের কী বোর্ডের ডিজাইন আদি ও অকৃত্রিম রয়ে গেছে।


❏ চির রহস্য: ১৫১৩ সালে পেরি রইস নামের জনৈক তুর্কি এডমিরাল বিশ্বের পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র তৈরি করেন। প্রাচীন মানচিত্র ব্যবহার করে তিনি এই মানচিত্র তৈরি করেছেন বলে ফুটনোটে উল্লেখ করেছেন। তাঁর এ অসাধারণ কর্ম ১৯২৯ সালে বিশ্বের মানচিত্র প্রস্তুতকারকদের রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে। কারণ তার তৈরি মানচিত্র বিস্ত্রয়করভাবে নিখূঁত। এডমিরাল রইস পৃথিবীর অক্ষাংশ ও দাঘিমাংশের পরিমাপের জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন, ১৮শ শতকের আগে তা কারো জানা ছিল না। অথচ তার মানচিত্রে পৃথিবীর মহাদেশগুলোর অবস্থান সঠিক এবং পরিমাপও ত্রুটিহীন। তার মানচিত্রে অনাবিষ্কৃত অ্যান্টার্কাটিকা মহাদেশকে কিভাবে দেখানো সম্ভব হলো, তা এক চিররহস্য। কারণ কেবলমাত্র আধুনিক জরিপের অ্যান্টার্কাটিকার আকৃতি ও আয়তন সর্ম্পকে বিস্তারিত জানা যায়।


❏ নামের রকম ফের: তুষার মানবের নেপালি নাম ‘ইয়েতি’। তিব্বতীরা এটার নাম রেখেছে ‘মেটো কাংমী’। ১৯২১ সালে এই নামের অনুবাদ করেন নিউম্যান হেনরি। তিনি তুসার মানবের নাম রাখেন ‘অ্যাবেনেবল স্নোম্যান’। উত্তরে গোবি মরুভূমি থেকে দক্ষিণে আসাম- এশিয়ার এ বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এটার নানা নাম রয়েছে। কোথাও ‘মিগ’ কোথাও ‘মেটি’ কোথাও ‘শুকপা’, আবার কোথাও ‘কাংমি’। বাংলা ভাষায় এটার নাম তুষারমানব। আমেরিকার অরণ্যে যে তুষারমানবের কথা শোনা যায়, তা স্থানীয় জনগণের কাছে ‘বিগফুট’ নামে পরিচিত। কানাডিয়রা বলে ‘সাসকোয়াচ’।


❏ জরিমানা মাত্র ৬ পেন্স: ১৯১৭ সালে ‘শিকাগো ট্রিবিউন’ মার্কিন ধনকুবের হেনরি ফোর্ডকে ‘অরাজকতার সমর্থক’ আখ্যা দিল। কুৎসা প্রচারের অভিযোগে ফোর্ড পত্রিকটির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করলেন। ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৬ পেন্স রায় পেলেন। অথচ মামলাটির পরিচালন করতে তখন তার করচ হয়েছিল পাঁচ লাখ ডলারেরও বেশি। ফোর্ড কখনো সেই ক্ষতিপূরণ পাননি। কারণ শিকাগো ট্রিবিউনের দাবি করে বসলো: এ জরিমানা মিশিগান আদালতের আওতা বহির্ভূত।


❏ পাঁচ চোখ: মানুষের চোখ মাত্র দুটো। না তাকালে পেছনে, পাশে বা উপরে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু মৌমাছি এক যোগে সবদিকে দেখতে পায়। এটার চোখ পাঁচটি। মাথার ওপরে তিন। আর ডান ও বামে একটি করে। এ পাঁচ চোখ আবার আমাদের ৩৫০০ চোখের সমান। ফুলের সন্ধান পেতে তাই তাদের দেরি লাগে না।


❏ বিসকিট বিসকিট: ভারতীয় উপমহাদেশের বিশ্বখ্যাত আইনজীবী বিচারপতি এম. আর কায়ানীর আর্দালি নিরক্ষর ছিলেন। কায়ানী সাহেব যখন চিন্তামগ্ন অবস্থায় waist coat ছাড়াই বিচারাসনে বসার জন্য রওয়ানা দিতেন, তখন সে আর্দালি পেছনে থেকে ‘বিসকিট বিসকিট’ বলে চেঁচাতেন। আর যখন তিনি wig (পরচুলা) না পরেই রওয়ানা দিতেন তখন সে বলতো: ‘বিগ বিগ’।


❏ চোর অতিথি: ১৯৬০ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের কোহাট ছাত্র পরিষদের এক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিচারপতি এম আর কারানী। printer’s devil-র কল্যাণে CHIEF GUSEST-র ‘C’ অক্ষরটি ‘T’ হয়ে যায়। ব্যাপারটি কায়ানী সাহেবের নজর এড়ায়নি। উপস্থাপকের ঘোষণায় সংশোধনী এনে তিনি বললেন, ‘ভদ্রমহোদয়গণ, আজ আপনারা CHIEF GUEST-র পরিবর্তে THIEF GUEST-র বক্তৃতা শুনবেন।’



❏ আহ! মসলিন: বাংলাদেশের মসলিন কাপড় ছিল বিশ্ববিখ্যাত। বিদেশিরা অবাক হয়ে এ কাপড়ের নাম দিযেছিল ‘হাওয়াই ইন্দ্রাজাল।’ ষাট হাত লম্বা একটি মসলিন কাপড় হাতে রাখলে সহজে টের পাওয়া যেতো না। ‘মলমল খাস’ নামের মসলিনের সুতো ছিল মাকড়াসার সুতোর চেয়েও সূক্ষ্ণ। ১৭৫ হাত সুতোর ওজন ছিল মাত্র এক রতি। এক পাউন্ড সুতো ছিল লম্বায় আড়াইশো মাইল। ‘আবরোয়া’ নামের মসলিন পানিতে রাখলে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হতো। জানা যায়, সোনারগাঁয়ের ১৭৫ হাত লম্বা একটি মসলিন কাপড়ের ওজন ছিল মাত্র ৪ তোলা। ইরানের রাজদূত মোহম্মদী বেগ কারুকাজ করা ষাট হাত দীর্ঘ একটি মসলিন নারিকেলের খোলে ভরে সম্রাটের দরবারে পাঠিয়েছিলেন। নবাব আলবর্দী খাঁ পরীক্ষা করার জন্য একখণ্ড মসলিন ঘাসের ওপর শুকাতে দেন। সেই কাপড় ঘাসের সাথে চলে যায় গরুর পেটে। অথচ মসলিন তৈরিতে কোনো জটিল যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হতো না। কয়েক টুকরো কাঠ আর দড়ি মাত্র। ঐতিহাসিক আর. মে বলেন, ‘এতো সাধারণ যন্ত্রপাতি দিয়ে ইউরোপের তাঁতীরা মসলিন দূরে থাক, চটও তৈরি করতে পারবে না।’


❏ প্রাইম নাম্বার: সর্ববৃহৎ প্রাইম নাম্বার হলো (২× ৮৬২৪৩-১)। এটি লিখতে প্রমাণ সাইজের খবরের কাগজের সাড়ে তিন পৃষ্ঠারও বেশি লাগবে। সাধারণ কম্পিউটাওরে প্রমাণ করতে লাগে ১ ঘণ্টা ৩ মিনিট ২২ সেকেন্ড। দুইকে ৮৬২৪৩ বার গুণ দিয়ে ‘এক’ বিয়োগ দিতে হবে (এ লেখাটি আশির দশকের। বর্তমানে অনেক বড় বড় প্রাইম নাম্বার আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা)।


❏ রঙ বটে: ভারতের দাক্ষিণাত্যের ইলোরা গুহায় যে চিত্রকলা ও খোদাইকৃত মূর্তি রয়েছে, তাতে ব্যবহৃত রঙ আজও ম্লান হয়নি। এ রঙ কি উপাদানে তৈরি হতো তা কেউ আবিষ্কার করতে পারননি।


❏ প্রতিশব্দ: আরবি ভাষায় ঘোড়ার ৭০০ এবং মদের আড়াইশো প্রতিশব্দ রয়েছে। অপরদিকে নিউজিল্যান্ডের মাউরি ভাষায় গোবরের ৩৫টি প্রতিশব্দ রয়েছে। আবার এস্কিমোরা বরফকে ৫০টি ভিন্ন নামে ডাকে।


❏ মা ও শিশু: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশু মায়ের স্বর শনাক্ত করতে পারে। ৪-৭ সপ্তাহের মধ্যে শিশু মায়ের চেহারা চিনতে শিখে। কয়েক দিনের মধ্যে মাও গন্ধ শুঁকে বলে দিতে পারেন, এটা তার সন্তানের পোশাক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাও শিশুর কান্নার স্বর বুঝে ফেলেন। মৌমাছি, বানর, ইঁদুর আর পাখিও তাদের স্বজনদের দ্রুত চিনতে পারে। কিছু গাছ তার নিজস্ব পোলেন বা রেণু চিনতে পারে। এ জাতীয় সম্পর্ক জানার জন্য মস্তিষ্ক বা স্নায়ুর প্রয়োজন হয় না।


❏ কলার গন্ধ: যে জিনিসটির গন্ধ চিনতে মানুষের ভুল হয় না। সেটি হলো কলা। বিশ্বের ১৬টি দেশের ৩০ জোড়া নরনারীর চোখ বেঁধে নাকের সামনে কলা ধরা হয়। কেই কলার গন্ধ শনাক্ত করতে ভুল করেননি। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রোজ মেরী আশির দশকে এ পরীক্ষা চালান।


❏ হুল: মৌমাছি, মশা, ছারপোকা মোটেও কামড়ায় না। কামড়াতে পারে না। এরা হুল ফোটায়।


❏ ঘাস বটে: বাঁশ, ইক্ষু ইত্যাদির আমরা গাছ বললেও এগুলো আসলে গাছ না। কারণ গাছের মূল বৈশিষ্ট্য এদের মাঝে নেই। এগুলো উন্নত প্রজাপতির ঘাস ছাড়া আর কিছু নয়।


❏ চতুর্ভুজ: বানরকে ‘চতুর্ভুজ’ বলা হয়। কারণ বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে অভিমত ব্যক্ত করেছেন: বানরের পা নেই সবগুলোই হাত।


❏ তৈলপায়িকা: আরশোলা বা তেলাপোকার সংস্কৃত নাম ‘তৈলপায়িকা’। কারণ এরা মাটির প্রদীপের তেল পর্যন্ত খেয়ে ফেলে। এরা সর্বভূক। যা পায় তাই খায়। তৈলপায়িকা থেকে বাংলায় তেলাপোকা হয়েছে।


❏ মৌমাছির গান: মৌমাছির গুনগুন শব্দকে কবিরা যতই ‘গুঞ্জন’ বলুক না কেন, আসলে ওটা মৌমাছির মুখের শব্দ নয়। ওদের ডানা নাড়ার ফলে সৃষ্ট কম্পনের শব্দ।


❏ মাত্র ২০ লাখ: এক পাউন্ড মধু তৈরি করতে মৌমাছিকে প্রায় ২০ লাখ ফুল থেকে রেণু সংগ্রহ করতে হয়।


❏ অতিকথন: ইংরেজিতে সংক্ষেপে কথা বলা একটি স্বীকৃত নিয়ম। অতিকথনের ফলে ইংরেজি ভাষার কিরূপ হাস্যকর ঠেকে তার একটি নমুনা দেখুন: will you please allow me to dip the digits of my fingers in your pulveriged utensil to tip the titillation into my olfactory nerves?- অর্থ ‘একটু নস্য দেবেন কি?’


❏ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞা: ইংরেজিতে বুদ্ধিজীবীকে ‘intellegensia’ বলা হয়। Oxford Dictionary তে ‘intelligensia’-র সংঙ্গায় বলা হয়েছে: that part of a community which may be regarded (or which regarded itself) as intellectual and capable of serious independent thinking. মানে সমাজের সেই অংশ যারা বুদ্ধিসম্পন্ন এবং স্বাধীনভাবে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাভাবনা করতে সক্ষম বলে মনে করা যেতে পারে (অথবা যারা নিজেরা তা মনে করেন।)।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com