শিরোনাম
বিখ্যাত কিন্তু উদ্ভট যত খাবার
প্রকাশ : ২৫ মে ২০১৭, ১৪:২৩
বিখ্যাত কিন্তু উদ্ভট যত খাবার
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আপনি যখন ভ্রমণপ্রিয় একজন মানুষ, দেশ-বিদেশ দেখার পাশাপাশি নিশ্চয়ই সেসব দেশের সবচেয়ে ভাল, ঐতিহ্যবাহী, নাম করা খাবারও চেখে দেখতে ইচ্ছা করে আপনার। ভ্রমণ আর সাথে নতুন নতুন মজার খাবার গ্রহণের আনন্দই আলাদা। কিন্তু আপনার কাছে যে খাবারগুলো খুবই অদ্ভুত তা-ই হয়ত অন্য দেশের বিখ্যাত খাবার। কিছু মানুষ আছে যারা এই অদ্ভুত খাবারই খুঁজে খুঁজে চেখে দেখতে পছন্দ করে। আপনি যদি তাদের একজন হন তাহলে এই লেখা আপনার জন্য।


ফ্রগ সাশিমি:আপনি যদি খাবারের স্বাদ নিত যথেষ্ট সাহসী হন তাহলে ফ্রগ সাশিমি খেয়ে দেখতে পারেন। জাপানের আসাদাচি রেস্টুরেন্ট এ পাবেন এটি। বীভৎস একটি খাবার এটি। ভাবুন, আপনি রেস্টুরেন্টে বসে অর্ডার করলেন ফ্রগ সাশিমি, শেফ একটি জীবন্ত ব্যাঙ নিয়ে এল এবং আপনার সামনেই ছুরি দিয়ে কেটে এর হৃৎপিণ্ড বের করে ফেলল আর দুটি চপস্টিক দিয়ে আপনার হাতে ধরিয়ে দিল সেটি। হৃৎপিণ্ডটি তখনো স্পন্দিত হচ্ছে।


জুমিলিস: জুমিলিস ‘স্টিঙ্ক বাগস’ হিসেবে বেশি পরিচিত। এরা ছয় পায়ের পোকা, ১ সে.মি. সাইজের হয় আর জঙ্গলের গাছের কাঠে বা পাথরের নিচে জন্মায়। জুমিলিস মেক্সিকো, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের রোজকার পছন্দের খাবার। এরা ভিটামিন বি২ এবং বি৩ সমৃদ্ধ খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এগুলো সরাসরি বা ভর্তা করে খাওয়া হয়।


সানাকজি: সানাকজি কোরিয়ান খাবার। খাবারটি মূলত ছোট ছোট অক্টোপাস, যা কেটে সাথে সাথেই তিলের তেল এবং বীজ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এটা আস্তও খাওয়া যায়। অক্টোপাসের পিসগুলি প্লেটের উপর কিলবিল করতে থাকে আর কাটা চামচ দিয়ে সেগুলো ধরাও কঠিন হয়! বলতে গেলে একটি জীবিত প্রাণী খাচ্ছেন আপনি চিবিয়ে চিবিয়ে আর প্রাণীটি আপনার মুখের মধ্যে বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।


স্কিনহেডস: মাছ খেতে পছন্দ করেন এমন ভোজনরসিকরা কিং স্যালমন মাছ খেতে আগ্রহী হবেন নিশ্চই। কিন্তু এর নষ্ট হয়ে যাওয়া দুর্গন্ধযুক্ত মাথা খাওয়ার কথা কখনো ভেবেছেন কি? আলাস্কায় কিং স্যালমন মাছের মাথা প্লাস্টিক ব্যাগ বা কাঠের ব্যারলের মধ্যে গাঁজান দিয়ে রেখে দেয়া হয় যাতে সেটি প্রাকৃতিকভাবেই পচে যায়। এরপর প্লাস্টিক ফেলে দিয়ে খাওয়া হয় মাছের মাথাগুলো।


বুশমিট: বানর, শিম্পাঞ্জি, গরিলা, ইঁদুর, বাদুড় সবকিছুই আপনার আমার কাছে খাবার হিসেবে কল্পনারও অতীত, কিন্তু আফ্রিকায় বহুল প্রচলিত খাবার। এর অনেক ভয়ঙ্কর দিকও আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইবোলার ভাইরাস এ ধরনের কোন বুশমিট থেকে এসেছে। আফ্রিকনরা এই ধরনের প্রাণীর খাবার খাওয়াকে তাদের ঐতিহ্য মনে করে যদিও এর প্রচলন হয়েছে তাদের একমাত্র প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর উৎস হিসেবে।


খাশ: খাশ এক প্রকারের স্যুপ। শুরুর দিকে এটি ঠাণ্ডা বা জ্বরের ঔষধ হিসেবে খাওয়া হলেও এখন এটি একটি অভিজাত খাবার। আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, ইরাক, ইরান এবং তুর্কির ঐতিহ্যবাহী খাবার এটি। গরুর পা, গোরালি আর মাথা বড় পাত্রে ফুটিয়ে বানানো হয় এটি। ৩২ মিনিট সময় লাগে তৈরি করতে খাবারটি। লবণ আর রসুন দিয়ে পরিবেশন করা হয় এটি।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com