শিরোনাম
শিল্প সাহিত্যের কিছু এলেবেলে তথ্য
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০১৭, ১০:০৩
শিল্প সাহিত্যের কিছু এলেবেলে তথ্য
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জোনাথন সুইফট: মনে আছে গ্যলিভার ট্রাভেলসের কথা। সেই বিখ্যাত বইটি কে লিখেছেন তা নিশ্চই বলে দিতে পারেন। হ্যা তিনি ছিলেন জোনাথন সুইফট। অসাধারণ কল্পনাশক্তির অধিকারী এই মানুষটি কিন্তু সেই সাইন্স ফিকশন দ্বারাই বিজ্ঞানের কিছু বেশ কিছু আবিষ্কারের কথা জানিয়ে ছিলেন। তার এক কাহিনীতে সর্বপ্রথম সৌরজগতের মঙ্গল গ্রহের দুইটি চাদের কথা উল্লেখ করেন। তিনি তাদের নাম দেন ফবোস এব ডিমোস। শুধু কি নাম দিয়েই শেষ নয় তিনি সেই চাঁদ দুটির আকার এবং গতিবিধি সম্পর্কিত নিখুত বর্ণনাও দিয়েছেন। তার এই কাহিনী প্রকাশের অনেক পরে বিজ্ঞানীর এই গ্রহ দুটো আবিষ্কার করেছেন।


হাসতে হাসতে মরণ: সেই খ্রিস্টপূর্ব ২৬৩ সালের কথা। ফিলোমোন (খ্রি:পূ:৩৬০-২৬৩) নামে একজন কবি ছিলেন। তিনি কৌতুক লিখতেন। লেখায় তার হাস্যরস চুইয়ে পড়ত। তিনি মোট ৯৭টি কৌতুক রচনা করেছিলেন।


এবার আসি আসল ঘটনায়। উনার মৃত্যু হয়েছিল বেশ অদ্ভুত ভাবে, হাসতে হাসতে। একদিন তিনি দুপুরের খাবার খেতে বসবেন, খাবার বেশ সাজানো আছে টেবিলে। হাত মুখ ধুতে গেলেন বাথরুমে। ফিরে এসে দেখলেন বাইরে থেকে জানালা দিয়ে তার বেয়াদব গাধা তার সব খাবার সাবাড় করে ফেলেছ। তাই দেখে ফিলোমোন সাহেব হাসতে শুরু করলেন। একদিকে ক্ষুধার যন্ত্রণা আর গাধার খাদ্য ভক্ষণ। হাসি যেন আর তার থামেই না। শেষে হাসতে হাসতেই হার্ট অ্যাট্যাকে মারা গেলেন। তখন উনার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।


রবার্ট লুইস স্টিফেনসনের গল্প লেখা: গুপ্তধনের দ্বীপ বা Treasure Island সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থের নাম এই লেখকের। মজার একটি কৌতুক প্রচলিত আছে এ উপন্যাস নিয়ে। অঝোর বৃষ্টির দিন ছিল সেই দিন। ছেলের সাথে ঘরে বসে গল্প করেছিলেন। সাদা কাগজে ম্যাপ একে তিনি একটি দ্বীপের নির্দেশ করেছিলেন এবং এই দ্বীপটাই ছিল একটি গুপ্তধনের দ্বীপ। এই ম্যাপ তৈরি করার পরই ছেলে বায়না ধরে বসল কিভাবে সেই গুপ্তধন পাওয়া যাবে তা বলতেই হবে। এবার শুরু হল উনার বানানো কাহিনী। মুখে মুখে কৌতুকের মধ্য দিয়ে তৈরী হয়ে গেল সেই বিখ্যাত উপন্যাসের মূল কাঠামো। সেইটি পরে উনি ভাষায় প্রকাশ করেন। আরেকটি মজার কাহিনী হল তিনি Strange Case of Dr Jekyll and Mr Hyde এই উপন্যাসের প্লটটা পেয়েছিলেন স্বপ্নে।


মহাকবি হোমারের মৃত্য: ‘ইলিয়ড’ এবং ‘ওডিসি’ মহাকাব্যদ্বয়ের অমর স্রষ্টা মহাকবি হোমারের মৃত্যু নিয়ে মজার একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। তার মৃত্যু হয়েছে একটি ধাঁধার উত্তর দিতে না পারার যন্ত্রণা নিয়ে। প্রচণ্ড লজ্জায়, মর্মাহত অপমানিত হয়ে তার মৃত্য হয়। হোমার একদিন একদল জেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমাদের মাছ ধরা কেমন চলছে? এই উত্তরে জেলেরা তাকে ছুড়ে দিয়ে ছিল এক অদ্ভুত ধাঁধা। জেলেরা বলেছিল ‘আমরা যা ধরি তা ফেলে দিই, আর যা ধরতে পারি না তা ঘরে নিয়ে যাই।’


তাহলে প্রশ্ন হল জেলেরা এমন কি জিনিস ধরত, যা ধরতে পারলে ফেলে দিত আর ধরতে না পারলে বাড়ি নিয়ে যেত? এই ধাঁধার উত্তর দিতে পারেননি হোমার। শেষে লজ্জায় ও অপমানে অস্থির হয়ে পড়েন। অসুস্থ হয়ে যান এবং মারা যান।


যাই হোক এবার ধাঁধার উত্তরটি দিয়ে যাই। উত্তরটি সহজ জেলেরা মাছ ধরার সময় একধরনের নদীর পোকা জালের সাথে উঠত। সেই পোকাগুলোই তারা ধরে ধরে তারা ফেলে দিত নদীতে। তারপরও কিছু কিছু পোকা থেকে যেত তাদের জালে। এগুলো জালের সাথে জেলেদের বাড়িতে চলে আসত।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com