শিরোনাম
ভাইরাসের সাত-সতেরো
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০১৭, ১৫:১০
ভাইরাসের সাত-সতেরো
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

● ভাইরাস একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ বিষ। আগে মানুষ আগে জানতো না যে কেন ভাইরাল রোগ হয়, তাই বিষ মনে করতো, যদিও ভাইরাস আসলে তা নয়।


● ১৮৯২ সালে সর্বপ্রথম ভাইরাসের উপস্থিতি প্রমাণ করেন আইভানোভস্‌কি, তামাকের মোজাইক ভাইরাস।


● ১৯৩৫ সালে স্ট্যানলি প্রথমবারের কোন ভাইরাস হিসেবে তামাকের মোজাইক ভাইরাসকে কেলাসিত করতে সক্ষম হন। ১১ বছর পর ১৯৪৬ সালে তিনি এ জন্য নোবেল পান।


● ভাইরাসে প্রোটিন আবরণীর ভিতরে নিউক্লিক অ্যাসিড থাকে।


● আকৃতি অনুসারে বেশ কিছু ভাগে (৫ ভাগ) কিন্তু নিউক্লিক অ্যাসিডের ধরন অনুযায়ী ভাইরাস দুভাগে ভাগ করা হয়: যথা: ডিএনএ (DNA) ভাইরাস এবং আরএনএ (RNA) ভাইরাস।


● আকৃতি অনুযায়ী ভাইরাসের শ্রেণিবিন্যাস:


ক. দণ্ডাকার: টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (যে ভাইরাসটি নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা হয়েছিল।)


খ. গোলাকার: পোলিও, ডেঙ্গু, এইডস এর HIV ভাইরাস। (খুব ভয়াবহ ও পরিচিত রোগসমূহ)


গ. ব্যাঙাচি আকার: T2 ফায ভাইরাস। (TMV এর সাথে যেন না মিলে যায়, T2 ভাইরাস অনেকটা এলিয়েন শিপ-এর মত)


ঘ. ডিম্বাকার: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।


ঙ. পাউরুটির মত: ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস।


RNA ভাইরাস ও DNA ভাইরাসের পার্থক্য


ক. RNA ভাইরাস সাধারণত উদ্ভিদে রোগ সৃষ্টি করে, আর DNA ভাইরাস সাধারণত প্রাণীকে আক্রমণ করে। যদিও প্রাণীতেও অনেক RNA ভাইরাস রোগ সৃষ্টি করে।


খ. RNA ভাইরাস দণ্ডাকার বা সূত্রাকার, কিন্তু DNA ভাইরাসের অন্যান্য সব আকৃতি।


গ. RNA ভাইরাস একসূত্রক, এবং DNA ভাইরাস দ্বিসূত্রক। (RNA সাধারণত একসূত্রক হয়, আর DNA দ্বিসূত্রক)


● সংক্রমণক্ষম ভাইরাসকে ভিরিয়ন বলে। (প্রশ্নের অপশনে ভিরয়েড টার্মটা থাকলে কনফিউশন হতে পারে। ভিরয়েড হচ্ছে কেবল নিউক্লিক অ্যাসিড, যার প্রোটিন আবরণ নেই, আবার প্রিয়ন হল এমন প্রোটিন আবরণ, যার মাঝে নিউক্লিক অ্যাসিড নেই। প্রোটিনের জন্য প্রিয়ন, আর নিউক্লিক অ্যাসিড থাকার জন্য ভিরয়েড, দুই মিলে ভিরিয়ন, যেখানে প্রোটিন আবরণও আছে, আবার ভেতরে নিউক্লিক এসিডও আছে)


● বাইরের প্রোটিন আবরণকে ক্যাপসিড বলা হয়। (নিউক্লিক এসিডের ক্যাপ)।


● ক্যাপসিডের স্তরের অ্যান্টিজেনিক বৈশিষ্ট্য আছে।(এন্টিজেনিক বৈশিষ্ট্য থাকার জন্য আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হতে পারে। এই এন্টিজেনিক বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে যেমন পোলিও রোগের টিকা দেয়া হয়, ফলে আমাদের দেহে আগে থেকেই পোলিও রোগের বিরূদ্ধে অ্যান্টিবডি থাকে)।


● যে ভাইরাসের সংক্রামণ ক্ষমতা নেই, কিন্তু নিউক্লিক অ্যাসিড ও ক্যাপসিড, দুটোই থাকে, তাকে নিউক্লিওক্যাপসিড বলে।


● একই ভাইরাসে হয় RNA নয়তো DNA অবস্থান করে, কিন্তু দুটোই একসাথে অবস্থান করে না।


● গবাদি পশুর ফুট অ্যান্ড মাউথ রোগের ভাইরাস সবচেয়ে ছোট, সবচেয়ে বড় ভাইরাস ভ্যারিওলা।


● TMV ভাইরাস দণ্ডাকার, এটি একসূত্রক RNA বহন করে।


● ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস এর মধ্যে DNA থাকে, বাইরে চর্বিজাতীয় পদার্থের আবরণ রয়েছে।


● T2 ফায এর নিউক্লিক এসিড দ্বিসূত্রক DNA, দেহ দুটি অংশে ভাগ করা যায়: মাথা ও লেজ।


● HIV ভাইরাসে একসূত্রক দুটি RNA এবং দুটি রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টেজ থাকে। (রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ এর কাজ হচ্ছে যে RNA থেকে রিভার্স করে যে DNA-এ তে পরিণত করা।)।


● HIV ভাইরাস মানবদেহের শ্বেতকণিকার ম্যাক্রোফাজ ও T-cell কে ধ্বংস করে।


● ক্যাপসিডের বাইরে দ্বিস্তরী লিপিড থাকে, যাকে গ্লাইকোপ্রোটিন বলে।


● এবিওলা ভাইরাসের আক্রমণে দেহের কোষ ফেটে যায়, আফ্রিকায় মহামারীরূপে এই রোগ হয়।


● BMV=Bean (সিম) Mosaic Virus


● টুংগ্রো ভাইরাসের পোষক দেহ ধান।


● বসন্তের জন্য ভ্যারিওলা ভাইরাস দায়ী আর হামের জন্য রুবিওলা ভাইরাস দায়ী।


● লাল টিউলিপ ফুলে সৌন্দর্যমণ্ডিত সাদা দাগ হবার জন্য দায়ী ভাইরাস।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com