শিরোনাম
‘ডেড সি’ কি আসলেই মৃত?
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০১৬, ১১:২৬
‘ডেড সি’ কি আসলেই মৃত?
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+
‘ডেড সি’ নাম শুনলেই গা কেমন ছমছম করে ওঠে! মনে হয়, মৃত লোকদের এক সাগর, যেখানে ভাসছে লাশ! আসলে বিষয়টি কিন্তু মোটেও ভয়ংকর নয়; বরং ‘ডেড সি’ ভীষণ সুন্দর, ভ্রমণে যাওয়ার জন্য চমৎকার এক জায়গা।


এই ‘ডেড সি’র পানি এতটাই ঘন যে ওই পানিতে কেউ চাইলে শুয়েও থাকতে পারে। শুধু তা-ই নয়, চাই কি শুয়ে শুয়ে বইও পড়া যায় এখানে। কিংবা ল্যাপটপ নিয়ে গিয়ে ওখানে শুয়ে শুয়ে নেট ব্রাউজও করা যাবে। তবে এর নাম কেন ‘ডেড সি’ হলো?


নাম ‘ডেড সি’ হলেও এটা কিন্তু মোটেও কোনো ‘সি’ বা সাগর নয়। ‘মৃত সাগর’ নাম হলেও এটা আসলে একটা হ্রদ। তবে মিঠাপানির নয়, এর পানি ভীষণ লবণাক্ত। সাগরের লবণাক্ত পানি এখানকার তুলনায় কিছুই নয়। এখানকার পানির লবণাক্ততা সাগরের পানির তুলনায় সাড়ে আট গুণ বেশি! এত নোনতা পানিতে না বাঁচতে পারে কোনো মাছ, না বাঁচতে পারে সাগরের নিচের অন্য কোনো গাছ।


এই বিশাল হ্রদে তাই কোনো মাছই নেই। নেই পানির নিচের কোনো গাছপালাও। আর সে কারণেই এই হ্রদকে বলা হয় ‘ডেড সি’ বা ‘মৃত সাগর’।


তবে মাছ নেই বলে যে এই হ্রদে কোনো জীবন্ত প্রাণীই নেই, তা কিন্তু নয়। এই হ্রদে বাস করে নানা রকমের ব্যাকটেরিয়া আর ছত্রাক। ব্যস, আর কিচ্ছুটি নেই।


এই হ্রদ কিন্তু মোটেও বিষাক্ত নয়। অনেকেই ভাবে, নির্ঘাত এই হ্রদের পানি বিষাক্ত। নইলে এতে কোনো মাছ বাঁচে না কেন? আসলে এখানে কোনো প্রাণী নেই, স্রেফ পানির লবণাক্ততার কারণে, অন্য কোনো কারণে নয়।


শুধু তা-ই নয়, এই হ্রদ অঞ্চলটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এখানকার আবহাওয়া অনেক রোগ সারিয়ে তোলার জন্য তো ভালোই, এই হ্রদের তীর সূর্যস্নান করার জন্যও যাকে বলে একেবারে মোক্ষম জায়গা। তাই জায়গাটি দিন দিন পর্যটকের কাছেও খুবই প্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে যাঁরা স্বাস্থ্য ভালো করতে ঘুরতে-টুরতে বের হন, তাঁদের জন্য তো এটা যাকে বলে এক টুকরো স্বর্গ। হ্রদটি ইসরাইল, পশ্চিমতীর ও জর্ডানের সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com