মজার বিষয় হলো আমাদের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের পাশের আঙ্গুলের নাম হলো অনামিকা, যার অর্থ- নাম নেই। আঙ্গুলটির চীনা নামটির অর্থও তাই। কিন্তু এর নাম নেই কেন? এর এই অদ্ভুত নামটি কি করে এলো?
আমাদের সবারই সবচেয়ে প্রিয় শব্দটি হলো আমাদের নাম। আমাদের সবার নির্দিষ্ট একটা নাম আছে। সেরকম আমাদের হাতের পাঁচটি আঙ্গুলেরও নাম আছে।
আঙ্গুলগুলোর নাম তো জানেনই- বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী, মধ্যমা, অনামিকা ও কনিষ্ঠা। ইংরেজিতে বললে- থাম্ব, ইনডেক্স ফিঙ্গার, মিডল ফিঙ্গার, রিং ফিঙ্গার ও লিটল ফিঙ্গার। আবার চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় আঙ্গুলগুলোর কোনো নাম নেই, সংখ্যা দিয়ে ওদের চিহ্নিত করা হয়।
মজার বিষয় হলো আমাদের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের পাশের আঙ্গুলের নাম হলো অনামিকা, যার অর্থ- নাম নেই। আঙ্গুলটির চীনা নামটির অর্থও তাই। কিন্তু এর নাম নেই কেন? এর এই অদ্ভুত নামটি কি করে এলো? এর নামকরণের পেছনে একটা ধর্মীয় ঘটনা আছে।
অনামিকা আঙ্গুলটি কিন্তু খুবই বিখ্যাত। বাংলায় নামহীন হিসেবেই একে ডাকা হতো। আঙ্গুলটি আমাদের কাছে আই নামেই পরিচিত। অনেক আগে পশ্চিমা দেশগুলোতে মনে করা হতো, এই আঙ্গুলটির জাদুকরী ক্ষমতা আছে। তারা মনে করত, আঙ্গুলটির সঙ্গে হৃদয়ের সরাসরি যোগ আছে। তাই বিয়ে করার সময় বিয়ের আংটি এই আঙ্গুলে পরত। আর এখন এই রীতিটিই সারাবিশ্বে প্রচলিত হয়ে পড়েছে। বিয়ের আংটি এখনও এই আঙ্গুলে পরা হয়। তাই এটি রিং ফিঙ্গার বা আংটি পড়ার আঙ্গুল হিসেবেও পরিচিত, তবে বাংলায় এর নামকরণের সাথে বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।
অনামিকা শব্দটি এসেছে সংস্কৃত থেকে। এই আঙ্গুলের নামহীন হওয়ার পিছনে একটি পৌরাণিক ঘটনা আছে। যা হিন্দু ধর্ম থেকে এসেছে।
ঘটনাটি হলো- মহাদেব শিব একবার ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়ে পরেন চতুর্মুন্ডু ব্রহ্মার উপর। তারপর তিনি চতুর্মুন্ডু ব্রহ্মার একটি মাথা ঘাড় থেকে খসিয়ে ফেলেছিলেন। এই কাজটি তিনি করেছিলেন তার অনামিকা আঙ্গুলটি দিয়ে।
এরপর যখন তাঁর ক্রোধ কমে, তিনি প্রবল অনুতাপে অস্থির হয়ে পড়েন। তারপর তিনি নিজের আঙ্গুলকে শাপ দেন এবং বলেন, আজ থেকে তুই নাম গ্রহণের যোগ্যতা হারালি। এরপর থেকেই লোকমুখে এই আঙ্গুলের নাম হয়ে যায় অনামিকা।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]