
কথায় বলে যার বাড়িতে নিম গাছ থাকে তার বাড়িতে রোগবালাই ঢুকতে পারে না। কারণ নিমগাছের খালি নিমপাতা যে ব্যবহারযোগ্য তা নয়, নিম গাছের পাতা ফল ফুল এমনকি বাকল বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ের কাজে ব্যবহৃত হয়। শুধু আজ থেকে নয় সেই প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে নিম। আজ থেকে পাঁচহাজার বছর আগে ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় নিম ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি একটি PubMed নামক মার্কিন চিকিৎসা পত্রিকায় একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণাটি মূলত ছিল ব্লাড সুগারের নিমের ভূমিকা নিয়ে। সেখানে বলা হচ্ছে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিমপাতার গুনাগুন রয়েছে। এমনকি সুগারের প্রভাব শরীরের কম পড়তে পারে নিমপাতার নিয়মিত ব্যবহারে।
একদল সুগারের রোগীর ওপর পরীক্ষা করে দেখা যায় এক আমূল পরিবর্তন। গবেষণা চলাকালীন প্রতিদিন ১০ গ্রাম নিম পাতার গুড়ো দেয়া হতো এই রোগীদের। টানা ছয় মাস এই পরীক্ষার চালু থাকে। এরপর এই ছয় মাসের মধ্যে প্রতি দুই মাস অন্তর তাদের সুগার লেভেল পরীক্ষা করে দেখা হতো যে কতটা সুগার লেভেল কম থাকছে। এইভাবেই প্রথমে দুই মাসে তারপর চার এবং তারপর ছয় মাসে পরীক্ষা করা হতে থাকে।
অতঃপর দেখা যায় ওই রোগীদের রক্তে শর্করার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এই রোগ অনেকটাই কন্ট্রোলে রয়েছে। এমনকি সুগার নিয়ন্ত্রণে যে ইনসুলিন ব্যবহার করা হতো ছয় মাস পরে সেই ইনসুলিনের মাত্রাও কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিবার্তা/অনামিকা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
ময়মনসিংহ রোড, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]