তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৯৫ রান। কলম্বোর আর প্রেমাদাসায় ডেথ ওভারে ঝড় তুলে স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে করেছে ২৯৪ রান। শেষ ১০ ওভারে তারা করেছে ১০৬ রান।
শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারেই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পায় তারা। আগের ম্যাচে ৮২ রানের ইনিংস খেলা অভিষ্কা ফের্নান্ডোকে ফেরায় ৬ রানে। শফিউল ইসলামের কাছে এলবিডাব্লিউ হন এই ওপেনার।
১৩ রানে শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেট পেলেও স্বস্তিতে ছিল না বাংলাদেশ। কুশল পেরেরার সঙ্গে অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে প্রতিরোধ গড়েন। কিন্তু এই ওপেনারকে ৪ রান না করার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। তাইজুল ইসলামের বলে মুশফিকুর রহিমকে সহজ ক্যাচ দেন করুণারত্নে। ৬০ বলে ৬ চারে ৪৬ রান করেন তিনি। কুশলের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৮৩ রানের।
২ রানের ব্যবধানে আরও একটি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। করুণারত্নের বিদায়ের পর পরের ওভারে রুবেল হোসেনের শিকার হন ক্রিজে শক্ত অবস্থান নেওয়া কুশল পেরেরা। ৪২ রানে তাকে মুশফিকের ক্যাচ বানান রুবেল। লঙ্কান ব্যাটসম্যানের ৫১ বলের ইনিংসে ছিল ৫ চার।
দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান করুণারত্নে ও কুশলকে ২ রানের ব্যবধানে হারালেও শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়ায় কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের দারুণ জুটিতে। ৫৫তম বলে ছক্কা মেরে ১৫তম ফিফটি পান কুশল। শেষ পর্যন্ত ১০১ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন এই ব্যাটসম্যান। সৌম্য সরকার ৫৪ রানে তাকে লং অনে সাব্বির রহমানের ক্যাচ বানান। ৫৮ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে সাজানো ছিল কুশলের ইনিংস।
তার বিদায়ের পর দাসুন শানাকাকে নিয়ে ঝড় তোলেন ম্যাথুজ। ডেথ ওভারে বোলারদের ওপর চড়াও হন দুজন। ৬৯ বলে ৫ চারে ফিফটি করা ম্যাথুজ ৬৩ রানে জীবন পেয়ে আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। লং অনে সাব্বির তার ক্যাচ মিস করেন। অবশ্য পরের ওভারেই সেই আক্ষেপ দূর করেন তিনি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে। লং অফ থেকে দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল লুফে নেন সাব্বির। তাতে মাত্র ২৭ বলে ৫২ রানের ঝড় তোলা জুটি ভাঙে শানাকার বিদায়ে। ১৪ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ৩০ রান করেন তিনি।
এরপর শেহান জয়াসুরিয়াকে নিয়ে ১৫ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েন ম্যাথুজ। শফিউল তাদের বিচ্ছিন্ন করেন। তামিম ইকবাল ১৩ রানে শেহানের ক্যাচ নেন। শেষ ওভারে সৌম্যর প্রথম বলে ফিরতে হয় ম্যাথুজকে। সাবেক অধিনায়ক ৯০ বলে ৮৭ রান করে মুশফিককে ক্যাচ দেন। ৮ চার ও ১ ছয় ছিল তার ইনিংসে। পরের বলে আকিলা ধনঞ্জয়াকে শূন্য রানে সাকিবের ক্যাচ বানিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন সৌম্য। কাসুন রাজাথা দুটি রান নিয়ে তাকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেন। পঞ্চম বলে আবারও সাব্বিরের ক্যাচ মিসে চার রান পান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
বাংলাদেশের পক্ষে সৌম্য ও শফিউল সমান তিনটি করে উইকেট পান। একটি করে নেন রুবেল ও তাইজুল।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]