লাল কার্ড দেখেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। এরপর মিডিয়ার সামনে এসে রেফারিংয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন। আর এতেই যত আপত্তি। বিপদ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রকাশ্যে মুখ খোলার অপরাধে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন এই তারকা।
কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
তবে মেসির জন্য একটি পথ খোলা আছে। আর সেটি হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা, অর্থাৎ সোজা কথায়মেসিকে ক্ষমা চাইতে হবে। তাহলেই নাকি শাস্তি এড়াতে পারেন আর্জেন্টাইন তারকা। না হলে বড় শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বার্সা তারকা।
ওই ম্যাচে চিলির বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে মেসি। এরপর কোপার আয়োজক দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল সংস্থা কনমেবলকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে উল্লেখ করেন মেসি। এমনকি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী সেই ম্যাচ শেষে পুরস্কার মঞ্চেই হাজির হয়নি পুরো আর্জেন্টিনা দল।
ফলে শাস্তি অনিবার্য; কিন্তু সেই শাস্তি শুধু মেসি নয়, গোটা আর্জেন্টিনা দলের ওপরই পড়তে পারে। নিষিদ্ধ হতে পারে পুরো আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনও। সবকিছু থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই উপায়- মেসিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের প্রথম সারির এক কর্মকর্তা বলেন, পুরো ঘটনার জন্য মেসিকে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষে শাস্তি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বিশেষ করে আয়োজকদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলার পর মেসির পাশে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন ছাড়া কেউ নেই।
কয়েক মাস পর প্রাক বিশ্বকাপ বাছাই শুরু হবে। সেখানে আর্জেন্টিনা দলের মধ্যমণি মেসিই। কীভাবে শাস্তি এড়ানো যায়, তা নিয়ে কোপার আয়োজকরাও দ্বিধায়। প্রাথমিকভাবে কনমেবলের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাও হয়ে গেছে। সেখানে রেফারি রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে।
সে রিপোর্টও গেছে মেসির বিপক্ষে। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন ঘটনার পর মেসির পাশে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে রেফারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
লা ন্যাসিওন পত্রিকা দাবি করছে, আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কনমেবলের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যাতে তারা অনুরোধ জানিয়েছে, যেন মেসির ওপর থেকে লাল কার্ডের শাস্তি তুলে নেয়া হয়। সূত্র : লা ন্যাসিওন।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]