বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টিকে থাকার প্রথম পরীক্ষায় প্রতিপক্ষ ভারত। অসম্ভব সমীকরণকে সম্ভব করার মিশন টাইগারদের। সেমিফাইনাল আশা বাঁচিয়ে রাখতে জিততেই হবে। মাস্ট উইন গেম এটা। ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর গা ছাড়া ভাব দেখানোর সুযোগ নেই টিম ইন্ডিয়ার। ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচ বাদ দিলে ভারতের বোলিং ডিপার্টমেন্টও সফল অবস্থাতেই আছে। ব্যাটারদের ব্যাটেও রান আছে।
মঙ্গলবার বার্মিংহামের এজবাস্টনে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে। ম্যাচটি দেখাবে বিটিভি, গাজী টিভি, মাছরাঙা টেলিভিশন, স্টার স্পোর্টস ওয়ান ও টু।
বিশ্বমঞ্চে এক যুগ আগে একবারই ভারতকে হারাতে পেরেছিলো বাংলাদেশ। এবারো কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয় বলে বিশ্বাস রাখছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বার্মিংহামের ২২ গজ কি নিয়ে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য? সেই রহস্যভেদের চেষ্টায় ব্যস্ত কোর্টনি ওয়ালশ। বড় পরীক্ষাটা যে তার আর তার শিষ্যদের। এই উইকেটেই ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। একই পিচে একদিনের ব্যবধানে আবারো ম্যাচ। ভারতের জন্য চেনা হলেও অচেনা বাংলাদেশ।
দুই সেঞ্চুরি তিন ফিফটি, সাকিবে ব্যাটিং বাংলার তুষ্টি। মুশফিকের উইলো বিশ্বকাপে ধারালো, সাফল্যের প্রদীপ জালতে পারেননি তামিম, ওর কাছ থেকে বেশিকিছু চায় টিম। তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট, অবিশ্বাস্য স্ট্রাইকরেট, শামি টাইগার ব্যাটসম্যানদের থ্রেট। বল নতুনই হোক বা পুরনো, বুমরার বল ভুবন ভোলানো। বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথ, কারা চড়বে জয়রথ।
পরিসংখ্যান দেখে ভয় পাওয়ার দিন শেষ, বেড়েছে টাইগারদের আত্মবিশ্বাসের তেজ। বিশ্বকাপে তিন দেখায় দুই হার বাংলাদেশের। একমাত্র জয়টি এসেছিলো ২০০৭ বিশ্বকাপে। ওয়ানডেতে ৩৫ দেখায় ২৯ জয় ভারতের। ৫ জয় বাংলাদেশের। চার বছর আগে দুই দলের সবশেষ সিরিজে জয়ী দলও বাংলাদেশ।
দেখে নেবো বিশ্বমঞ্চে কেমন ছিল বাংলাদেশ-ভারতের শেষ তিন দ্বৈরথ।
২০০৭ বিশ্বকাপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পোর্ট অব স্পেন) ১৭ মার্চ ২০০৭
প্রথম সাক্ষাতে ক্যারিবীয় দীপপুঞ্জে টস জিতে ভারতীয় অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশের পেস ও স্পিন বোলিংয়ে ভারত মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সৌরভ গাঙ্গুলি সর্বোচ্চ ৬৬ রান ও যুবরাজ সিং ৪৭ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফি ৪টি ও আব্দুর রাজ্জাক এবং মোহাম্মদ রফিক ৩টি করে উইকেট লাভ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হাত রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ৫১ রান, মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৫৬ রান ও সাকিব আল হাসান ৫৩ রান করেন। বল হাতে ভারতীয় শিবিরে তাণ্ডব ছড়ানোয় মাশরাফি বিন মুর্তজা প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
২০১১ বিশ্বকাপ (বাংলাদেশ, ঢাকা) ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১
দ্বিতীয় সাক্ষাতে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান। বিরেন্দ্র শেহওয়াগের ১৭৫ রান ও বিরাট কোহলির অপরাজিত ১০০ রানে ভর করে ভারত ৪ উইকেটে ৩৭০ রান করে।
জবাবে তামিমের ৭০ রান, ইমরুলের ৩৪ রান, জুনায়েদ সিদ্দিকির ৩৭ রান ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ৫৫ রানের কল্যাণে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৮৩ রান করে। ভারতের হয়ে মুনাফ প্যাটেল ৪ উইকেট লাভ করেন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানোয় বীরেন্দ্র শেহওয়াগ প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৫ বিশ্বকাপ (অস্ট্রেলিয়া, মেলবোর্ন) ১৯ মার্চ ২০১৫
একাদশ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে টস জিতে ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। রোহিত শর্মার ১৩৭ রান ও সুরেশ রায়নার ৬৫ রানের কল্যাণে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ৩ উইকেট লাভ করে।
জবাবে ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ১৯৩ রানে অল আউট হয় তারা। দলের হয়ে নাসির হোসাইন সর্বোচ্চ ৩৫ রান ও সাব্বির রহমান ৩০ রান করেন। ভারতের হয়ে উমেষ যাবদ ৪ উইকেট লাভ করেন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা রোহিত শর্মা প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]