মনিকা চাকমার একমাত্র গোলে মিয়ানমারকে হারিয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে উঠেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

শুক্রবার মিয়ানমারের মানডালার থিরি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় রাউন্ডের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে মেয়েরা।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিলিপিন্সকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য এত বড় জয় পাননি মারিয়া-তহুরা-আঁখিরা। আগামী রবিবার শেষ ম্যাচে গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে চীনের মুখোমুখি হবে তারা।

এদিকে চীন শুক্রবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিলিপিন্সকে ৭-০ গোলে হারিয়ে মূল পর্বের টিকেট নিশ্চিত করে। দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে গ্রুপে বাংলাদেশের ওপরে আছে তারা।

ম্যাচের ১৪তম মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়লেও ডিফেন্ডারের জন্য ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি তহুরা খাতুন। ফিলিপিন্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা এই ফরোয়ার্ডের দুর্বল শট সোজা যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে।

এরপর ২৩তম মিনিটে মনিকার শট ফেরান মিয়ানমার গোলরক্ষক। গোলশূন্য প্রথমার্ধে এরপর আর তেমন কোনো আক্রমণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে স্বাগতিকদের ডি-বক্সে আক্রমণ শানাতে দেয়নি আঁখি-নাজমা-আনাইয়ে সাজানো রক্ষণভাগও।

দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩তম মিনিটে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে দুর্বল শটে দলের হতাশা বাড়ান আনুচিং মোগিনি। একটু পর মিয়ানমারের আক্রমণে ফিরিয়ে দলের ত্রাতা গোলরক্ষক রুপনা চাকমা।

এরপরেই ৬৭তম মিনিটে মনিকার দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ডান দিক থেকে নেয়া এই মিডফিল্ডারের কর্নার বাঁক খেয়ে লাফিয়ে ওঠা গোলরক্ষকের গ্লাভসে ছুঁয়ে জালে জড়ায়।

এর আগে চীনের কাছে প্রথম ম্যাচে ৫-০ গোলে হেরেছিল মিয়ানমার। টানা দুই হারে মূল পর্বে ওঠার আশা শেষ হয়ে গেছে তাদের।

বাছাইয়ের প্রথম পর্বে ৬ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ, চীন, লাওস, অস্ট্রেলিয়া, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। সেরা দুই রানার্সআপ ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্স। তবে থাইল্যান্ড স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি মূল পর্ব খেলবে বলে তাদের বদলে ওই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার সুযোগ মিলেছে ইরানের। এএফসির এবারের নিয়ম অনুযায়ী এই আট দল নিয়ে দুই গ্রুপে হচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ড। দুই গ্রুপের থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল যাবে থাইল্যান্ডে মূল পর্বে।

বিবার্তা/মাইকেল/জহির