ইতিহাস লিখলেন মেরি কম। বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৪৮ কেজি বিভাগের ফাইনালে ইউক্রেনের হানা ওখোতাকে ৫-০তে হারিয়ে রেকর্ড গড়লেন তিনি।
৪৮ কেজি লাইট ফ্লাইওয়েটে রেকর্ড ছ'বার চ্যাম্পিয়ন হলেন মেরি। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কেডি যাদব ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই ইতিহাস লিখলেন তিনি। আর এর সাথে নারীদের বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাস সব থেকে সফল বক্সার হিসেবে নাম লেখা হল এই ভারতীয় বক্সারের।
এর আগে মেরি কম ২০০২, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৮ ও ২০১০ সালে এই ট্রফি জিতেছিলেন। আয়ারল্যান্ডের কেটি টেলরের সঙ্গে একই জায়গায় ছিলেন। এবার তাকে পিছনে ফেলে সেরার তকমা ছিনিয়ে নিলেন মেরি। জয়ের পর সোনার পদক দেশকে উৎসর্গ করলেন তিনি।
৩৫ বছরের মণিপুরী বক্সারের ঝুলিতে এই নিয়ে এল সাতটি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ পদক। ২০০১ সালে রুপা জিতেছিলেন তিনি। তারপর থেকে যতবারই জিতেছেন সোনাই জিতেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মেরি কমকে। তিনি টুইটে লেখেন, রেকর্ড ষষ্ঠবার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার জন্য মেরি কমকে শুভেচ্ছা। আমরা তোমাকে নিয়ে গর্বিত।
শুক্রবার সেমিফাইনালে মেরি কম হারিয়ে দেন উত্তর কোরিয়ার কিম হ্যাং মিকে। সেখানেও ফল ছিল তার পক্ষে ৫-০। সেমিফাইনালে অচেনা প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। নিশ্চিত ছিলেন সোনা তিনি জিতবেনই।
এর পর ৫৭ কেজি ফেদারওয়েট বিভাগে সোনার লক্ষ্যে নেমেছিলেন আরো এক ভারতীয় মহিলা বক্সার সোনিয়া। তার প্রতিপক্ষ ছিল ওর্নেলা ওয়ানার। এই প্রথম কোনো জার্মান ওয়ার্ল্ড বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছছিলেন।
সোনিয়ারও এটাই প্রথম ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ছিল। সেমিফাইনালে তিনিও মেরি কমের পদ অনুসরণ করে ৫-০তে হারিয়ে দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার জো সন হাওয়াকে। মেরির জয়ের সব চোখ স্থির হয়ে গিয়েছিল সোনিয়ার ইভেন্টের দিকেই। কিন্তু তিনি রুপা জিতেছেন। সূত্র: এনডিটিভি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]