এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে খুব একটা বড় টার্গেট দিতে পারলো না বাংলাদেশ। মুশফিকের ৯৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পরও ২৩৯ রানেই থেমে যায় টাইগাররা।
আবু ধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ছিল যাচ্ছেতাই। ১২ রান তুলতেই নেই ৩ উইকেট। সৌম্য ফিরলেন শূন্য রানে। লিটন দাস (৬), এবং মুমিনুল (৫) দু'জনই ব্যার্থ।
এরপরই ত্রাতা হয়ে আসেন মুশফিক। তাকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে খেলায় ফেরান মুশফিক-মিঠুন। ১৪৪ রানের জুটি বেধে দলকে খাঁদের কিনারা থেকে তুলে আনেন। ৬০ রানে হাসান আলীর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিঠুন।
গত ম্যাচে দারুণ পারফম্য করা ইমরুল কায়েস এদিন সুবিধা করতে পারেননি। ৯ রানে এলবিডব্লউ'র ফাঁদে পড়েন শাদাব খানের বলে।
মুশফিকের ১ রানের আক্ষেপ
এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক।
বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে আবুধাবিতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও অসাধারণ খেলেছিলেন মুশকিক। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, ভালো খেলেও ১ রানের জন্য সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সপ্তম সেঞ্চুরির ঠিক কাছে গিয়েও ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিম। একদিনের ক্রিকেটে ১৯১তম ম্যাচ খেলেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ১১৬ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৯৯ রান সংগ্রহ করেন মুশফিক।
এর আগে ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ে ৯৮ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। সেবার মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি দেখা পাননি। এরপর ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে ৯০ রানে আউট হয়েছিলেন মুশফিক।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এক রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। ৯৯ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। ওয়ানডেতে এটি তার ৩০তম হাফ সেঞ্চুরি। ৬০ রান করেন মোহাম্মদ মিথুন। ওয়ানডেতে এটি তার দ্বিতীয় অর্ধশত। অন্যদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ২৫ রান। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে জুনায়েদ খান ৪টি, শাহীন শাহ আফ্রিদি ২টি, হাসান আলী ২টি ও শাদব খান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
বাংলাদেশের একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান একাদশ: ইমাম উল হক, ফখর জামান, বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদ, শোয়েব মালিক, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ নাওয়াজ, হাসান আলী, জুনায়েদ খান, ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
বিবার্তা/হাসান/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]