রাশিয়া বিশ্বকাপে এটি ছিল ২১তম আসর। তারুণ্য নির্ভর ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো ২১তম আসরের। অসংখ্য রেকর্ড হয়েছে এবারের আসরে। ফুটবল মানেই রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। রেকর্ড হয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালেও। তাও একটি নয়, এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ডের মুখ দেখেছে ফুটবল বিশ্ব।

আবার দেখা মিলবে বিশ্বকাপের। তবে তা চার বছর পর ২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাতারে। ততদিন পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বের রাজত্ব থাকলো ফ্রান্সের কাছে।

৬ গোল করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গোল্ডেন বুট লাভ করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন। এর মাধ্যমে সাবেক ইংলিশ কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকারকে স্পর্শ করেন কেইন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে লিনেকার ৬ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন।

১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১৩ গোল করে এখন পর্যন্ত এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতা ফ্রান্সের জাস্ট ফন্টেইন। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে ১১ গোল করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন হাঙ্গেরির ককসিস। ১৯৭০ বিশ্বকাপে গার্ড মুলার করেছিলেন ১০ গোল।

বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি ছুঁয়ে দেখতে না পারলেও সেরা ফুটবলারের পুরস্কার হিসেবে গোল্ডেন বল জিতেছেন ক্রোয়েশিয়ান অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ। দ্বিতীয় সেরা ফুটবলার হিসেবে সিলভার বলে খেতাব জিতেছেন বেলজিয়ামের অধিনায়ক ইডেন হ্যাজার্ড। আর ফ্রান্সের গ্রিজম্যান পেয়েছেন তৃতীয় সেরার খেতাব ব্রোঞ্জ বল।

রাশিয়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল গোলরক্ষকরা। দলকে ফাইনালে না তুলতে পারলেও দুর্দান্ত পারফর্ম করে তৃতীয় স্থান অধিকারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় গোল্ডেন গ্লাভসের শিরোপা পান বেলজিয়াম গোলকিপার কুর্তোয়া।

টুর্নামেন্টে মোট ৭টি ম্যাচ খেলেছেন কুর্তোয়া। যেখানে ৬৩০ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। এর মধ্যে ৭ ম্যাচে ২৭টি নিশ্চিত গোল সেভ করেছেন এ গোলকিপার। এবং ৭টি ক্লিয়ারেন্স ছিল।

বিবার্তা/শারমিন/শাহনাজ