শিরোনাম
৪৪ বছর পর ফাইনালে গোলের বন্যা দেখল বিশ্ব
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০১৮, ২৩:২৫
৪৪ বছর পর ফাইনালে গোলের বন্যা দেখল বিশ্ব
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

তারুণ্য নির্ভার ফ্রান্সের কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো ক্রোয়েশিয়ার। আর এতে করে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুললো লস ব্লুজরা। আর কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা ছুঁয়ে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে রেকর্ড গড়েন দিদিয়ের দেশম।


অসংখ্য রেকর্ড হয়েছে এবারের আসরে। কিছু স্থায়ীভাবে বসে গেছে রেকর্ড বুকে, বাকিগুলো হয়তো আগামীর কোনো একটি আসরে ভেঙে যাবে। ফুটবল মানেই রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা। রেকর্ড হয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালেও। তাও একটি নয়, এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ডের মুখ দেখেছে ফুটবলবিশ্ব।


বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম আত্মঘাতী গোল করার রেকর্ড গড়েছেন মারিও মানজুকিচ। রেকর্ড আরো একটি হয়েছে। ১৯৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর পর ফাইনালের প্রথমার্ধেই তিন গোলের বেশি হয় ১৯৭৪ সালে। সেবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল পশ্চিম জার্মানি।


৪৪ বছর পর ফাইনালের আবার এমন গোলের বন্যা দেখল বিশ্ব। রবিবার মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধ যেন গোলের পসরা সাজিয়ে বসেছিল। ফাইনালে ফ্রান্স ফেভারিট হলেও শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে ক্রোয়েশিয়া। তবে কাজের কাজটি করেই ফরাসিরাই। ১৮তম মিনিটে মারিও মানজুকিচের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েটরা।


আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে গড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মদ্রিচের দলকে। ভিদার শটে বল পেয়ে দারুণ শটে ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়ে দেন সেমিফাইনালের নায়ক ইভান পেরেসিচ।


আবার ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে পেরিসিচের কারণে গোল হজম করতে হয় ক্রোয়েশিয়াকে। নিজেদের বক্সের মধ্যে বলে হাত লাগান তিনি। রেফারি প্রথমে পেনাল্টি না দিলেও ফ্রান্সের ফুটবলারদের জোরালো আবেদনের কারণে তাকে ভিএআরের দারস্থ হতে হয়। ফলে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেননি গ্রিজম্যান। পেনাল্টি থেকে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন গ্রিজমান। এটিই বিশ্বকাপের কোনও আসরের ফাইনালে প্রথম পেনাল্টি। স্পট কিক থেকে টুর্নামেন্টে এটি নিজের চতুর্থ গোল।


বিরতি থেকে ফিরে গোলের জন্য মরিয়া ক্রোয়েশিয়া আক্রমণে যায়। কিন্তু লরিসের কল্যাণে তারা গোল বঞ্চিত হয়। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে গোলটি করলেন পল পগবা। ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে বাঁ-পায়ে জোরালো শট নেন পগবা। গোলরক্ষক সুবাসিচকে ফাঁকি দিয়ে বল চলে যায় জালে।


এর ছয় মিনিট পর অর্থাৎ ৬৫ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে এই বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপে। কিংবদন্তী ফুটবলার পেলের পর দ্বিতীয় তরুণ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করলেন এই পিএসজি তারকা।


এবারের বিশ্বকাপ গোলরক্ষকদের জন্য অভিশাপ হয়েই রইল। ফর্মের তুঙ্গে থাকা গোলরক্ষকরা শিশুসুলভ ভুল করলেও বাকি ছিলেন ফ্রান্সের হুগো লরিস। ফাইনালের মঞ্চে তিনিও দৃষ্টিকটু ভুল করে বসেন। ৬৯ মিনিটে ফ্রান্সের ডিফেন্ডার লরিসকে ব্যাক পাস দেন। কিন্তু রক্ষণমুখে থাকা মানজুকিচকে কাটাতে গিয়ে তার পায়ে লেগে গোল খেয়ে বসে ফ্রান্স।


বিবার্তা/শারমিন/শাহনাজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com