ফ্রান্সের বিপক্ষে নিয়মিত বিরতিতে গোল খেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ধুঁকতে ধুঁকতে দ্বিতীয় পর্বে ওঠা মেসিদের আর্জেন্টিনা।
পেনাল্টি থেকে অঁতোয়ান গ্রিজমানের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। আনহেল দি মারিয়ার দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধেই শুরুতে গাব্রিয়েল মের্কাদোর গোলে এগিয়ে যায় দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু খানিক পরই বাঁজামাঁ পাভার্দের দুর্দান্ত গোল সমতা ফেরায় ফ্রান্স। তারও কিছু সময় পর এমবাপের জোড়া গোলে দুই গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
কাজান অ্যারেনায় শনিবার নবম মিনিটে একটুর জন্য ফ্রান্সকে এগিয়ে নিতে পারেননি অঁতোয়ান গ্রিজমান। ২৫ গজ দূর থেকে আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ডের দারুণ ফ্রি-কিকে বল ক্রসবার কাঁপিয়ে ফেরে। কিলিয়ান এমবাপেকে হাভিয়ের মাসচেরানো ফাউল করায় ফ্রি-কিক পেয়েছিল ফ্রান্স।
ত্রয়োদশ মিনিটে গ্রিজমানই দলকে এগিয়ে নেন পেনাল্টি থেকে। প্রতি আক্রমণে মাঝ মাঠে বল পেয়ে দারুণ গতিতে এগিয়ে যাওয়া কিলিয়ান এমবাপেকে মার্কোস রোহো ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখিয়ে স্পটকিকের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি।
আবারো দ্রুতগতিতে ডি-বক্সে ঢুকতে যাওয়া এমবাপেকে থামাতে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো। আবারো বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রি-কিক পায় ফ্রান্স। তবে ২১তম মিনিটের এই ফ্রি-কিকে পল পগবার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।
বলের দখলে অনেক এগিয়ে থাকলেও গোলে শট নিতে পারছিল না মেসিরা। ৪১ মিনিটে অবশেষে প্রথম শটেই আসে গোল। ডি-বক্সের বেশ বাইরে এভার বানেগার কাছ থেকে একটু ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন আনহেল দি মারিয়া। একটু দেখে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে আচমকা বাঁ পায়ের দুর্দান্ত বাঁকানো শটে বল জালে পাঠান ডান পোস্ট ঘেঁষে। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক উগো লরিস।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে দূর থেকে গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। তৃতীয় মিনিটে ডি-বক্স থেকে শট নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। বলের গতিপথে থাকা গাব্রিয়েল মের্কাদো পা সরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল তার পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।
বিবার্তা/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]