শিরোনাম
রেহাই পেয়ে গেলেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ সামি?‌
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০১৮, ১৮:৪৩
রেহাই পেয়ে গেলেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ সামি?‌
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ক্রিকেট খেলোয়াড় মোহাম্মদ সামিকে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিলো বিসিসিআই। অন্যদিকে আইনজীবীরা বলছেন, সামি'র বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী ব্যাভিচারের যে অভিযোগ এনেছেন, তা-ও প্রমাণ করতে হবে।


ক্রিকেটার মোহাম্মদ সামি’র স্ত্রী হাসিনের অভিযোগ, স্বামীর একটি গোপন মোবাইল ফোনের হদিস পান তিনি। তাতে দেখতে পান, সামির সঙ্গে একাধিক মহিলার নিয়মিত ‘‌চ্যাট’ করার রেকর্ড, যা থেকে বোঝা যায়, ওই মহিলাদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে সামি'র।


এরপরই হাসিন বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন এবং নির্দিষ্ট কয়েকজন মহিলার নাম করে সামির বিরুদ্ধে ব্যাভিচারের অভিযোগ আনেন। হাসিন আরো অভিযোগ করেন, ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে বিদেশ সফরে গেলে সামি নিয়মিত যৌনকর্মীদের সঙ্গ কিনতেন।


তার চাইতেও গুরুতর একটি সন্দেহ প্রকাশ করেন হাসিন যে, সামি অনেক সময়ই বেশ মোটা অঙ্কের টাকা পেয়েছেন, যার উৎস অজানা। ওই টাকা সামি কেন পেয়েছেন, সে নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন হাসিন। ইঙ্গিত ছিল পরিষ্কার যে, সামি হয়ত ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গেও জড়িত থাকতে পারেন।


ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গেও জড়িত থাকার সন্দেহের কথা জেনে নড়েচড়ে বসে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই এবং স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সেই তদন্ত কমিটি জানিয়ে দেয়, ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে সামির জড়িত থাকার সন্দেহ অমূলক।


তদন্ত শুরু হওয়ার আগে বিসিসিআই'র সঙ্গে সামির চুক্তির ওপর যে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল, তা-ও তুলে নেয়া হয়।


ক্রীড়া সাংবাদিক অনির্বাণ মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, বিসিসিআই মোহাম্মদ সামিকে সন্দেহমুক্ত ঘোষণা করার অর্থ, ক্রিকেট খেলে যেতে সামির কোনো বাধা রইলো না। ভারতীয় টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে তো বটেই, পেশাদার আইপিএল ক্রিকেট লিগেও সামি খেলতে পারবেন। কারণ, সামির খেলোয়াড়ি দক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, যদি না হাসিনের আনা অন্য অভিযোগে সামির কারাদণ্ড বা অনুরূপ কোনো শাস্তি হয়।


কিন্তু স্ত্রীর আনা ব্যাভিচারের অভিযোগের ভিত্তিতেই বা সামিকে কী শাস্তি দেওয়া যেতে পারে?‌ ফৌজদারি আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ব্যাভিচারের সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর জেল অথবা জরিমানা অথবা দুটোই। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাভিচার প্রমাণসাপেক্ষ।


তিনি বলেন, আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, যদি না সেটা ধর্ষণ হয়, তা হলে একমাত্র বিবাহিত মহিলার স্বামীর অগোচরে বা অনুমতি ছাড়া সম্পর্ককেই ব্যাভিচার হিসেবে ধরা হবে। এমনকি যৌনকর্মীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও ব্যাভিচারের আওতায় পড়বে না, অন্তত আইনের চোখে।


আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য আরো জানান, শুধু অভিযোগ তুললেই হবে না, সেটা প্রমাণও করতে হবে। বান্ধবীদের সঙ্গে চ্যাটের ভিত্তিতে কোনো কিছু ধরে নেয়াটা আইনের কাছে গ্রাহ্য হবে না। সূত্র : ডয়চে ভেলে


বিবার্তা/হুমায়ুন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com