ইনিংসের শুরুটা ভালো হলেও শেষটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ দলের। ৪১ রানে শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের বিপদে ফেলে দেন সাকিব-মোস্তাফিজ-মিরাজরা। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি টাইগাররা।
ষষ্ঠ উইকেটে ১০.১ ওভারে ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান দুই পেরেরা। কুশল এবং থিসেরা পেরেরার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ দলের হয়ে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নেন সাকিব, মিরাজ, সৌম্য ও রুবেল।
৪০ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৬০ রান করা কুশল পেরেরাকে ফেরান অনিয়মিত মিডিয়াম পেস বোলার সৌম্য সরকার।
সৌম্যকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচে পরিণত হন কুশল। ইনিংস শেষ হওয়ার ১০ বল আগে মাঠ ছাড়েন লঙ্কান এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান।এরপর ইনিংসের শেষ হওয়ার ৪ বল আগে ৩৭ বলে ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৫৮ রান করা থিসেরাকে ফেরান রুবেল হোসেন।
শুক্রবার শ্রীলঙ্কার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের বাঁচা মরার লড়াইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ। এদিন টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ইনিংসের শুরুতে বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশ দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেই চমক দেখান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। শুরুতে উইকেট তুলে নিয়ে টাইগার শিবিরে আত্মবিশ্বাস ফেরান সাকিব। ২.১ ওভারে ১৫ রানে ওপেনার গুনাথিলাকার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সাকিবের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সাব্বির রহমান রুম্মনের তালুবন্দি হন গুনাথিলাকা। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ রান করেন লঙ্কান এই ওপেনার।
১৪ বলে ১১ রান করা অন্য ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন মোস্তাফিজ। উপল থারাঙ্গাকে রান আউটে ফেলেন কাটার মাস্টার। এরপর দাসুন শানাকে সাজঘরে পাঠান মোস্তাফিজ। লঙ্কান শিবিরে এরপর আঘাত হানেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন জীবন মেন্ডিস।
বিবার্তা/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]