আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ারসে ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির একটি ব্রোঞ্জের তৈরি মূর্তি কে বা কারা আবার ভেঙে ফেলেছে। মূর্তিটি দৃটি পা ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্থাপনের পর দ্বিতীয়বার এই ঘটনা ঘটলো।
২০১৬ সালের জুনে মেসির এই ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেছিলেন বুয়েনেসে আয়ারসের মেয়র হোরাসিও রদ্রিগেজ লারেত্তা। পুলিশ বলছে, কেন এই কাণ্ড তা তারা এখনো ধরতে পারছেন না।
মেসিই ধরতে গেলে এবার একহাতে আর্জেন্টিনাকে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে গেছেন। অক্টোবরে এক ম্যাচে একুয়েডরের বিরুদ্ধে মেসি সেদিন হ্যাট্রিক না করলে, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু তার দেশের কিছু মানুষের কাছে মেসির এই অবদান হয়তো যথেষ্ট নয়।
রাজধানীর রিও ডি লা প্লাতা নদীর তীরে গ্লোরি ওয়াকওয়েতে আর্জেন্টিনার বড় বড় সব ক্রীড়া তারকার, যেমন টেনিস তারকা গাব্রিয়েলা সাবাতিনি, বাস্কেটবল তারকা জিনোবিলির মূর্তি রয়েছে।
কিন্তু মেসির মূর্তিকেই বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসেও মূর্তিটি কোমর থেকে দুই টুকরা করা হয়েছিলো।
কার্লোস বেনাভাইডেসের তৈরি করা এই ভাস্কর্যটি এখন রাজধানীতে শিল্পকর্ম ও স্মৃতিসৌধ বিভাগে নিয়ে যাওয়া হবে।
মেসি ২০০০ সালে অর্থাৎ প্রায় ১৮ বছর আগে বার্সেলোনায় খেলার জন্য দেশ ছাড়েন। ‘তিনি জাতীয় দলে খেলতে আগ্রহী নন’ মাঝে মধ্যেই এ ধরনের সমালোচনা হয়।
মেসি চারবার বার্সেলোনাকে ইউরোপীয় কাপ, আটবার লা লীগা জিতিয়েছেন, পাঁচবার বিশ্ব সেরা ফুটবলার হয়েছেন। কিন্তু আর্জেন্টিনাকে একবারও বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি।
২০১৬ সালের কোপ আমেরিকার ফাইনালে চিলির বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করায় তাকে নিজের দেশে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]