
২০০২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু বয়সভিত্তিক পর্যায়ের পরই ক্রিকেট থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। আড়ালেই চলে যাওয়া সেই ক্রিকেটার ধাম্মিকা নিরোশানা নিজ বাড়ির সামনেই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে শ্রীলঙ্কার আমবালানগোডা এলাকায় একটি ১২-বোর ফায়ারআর্মের গুলিতে নিহত হন ৪১ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার।
আমবালানগোডার কান্ডা মাওয়াথায় নিজ বাড়িতে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের সামনেই নিরোশানাকে গুলি করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম।
লঙ্কান পুলিশের বক্তব্য, ঘটনার মূল হোতাকে শনাক্তের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলেও ততক্ষণে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি নিরোশানাকে। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় নিরোশানার স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিরাপদ আছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। ঘটনার সময় তারা এই সাবেক ক্রিকেটারের সামনেই ছিলেন। তবে কী কারণে এমন হামলা চালানো হলো তার ওপর, তাও জানা সম্ভব হয়নি।
২০০৪ সালে নিজের ক্যারিয়ার পুরোপুরি বিকশিত হওয়ার আগেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ধাম্মিকা নিরোশানা। মূলত ছিলেন একজন ফাস্ট বোলার। তবে ব্যাট হাতেও বেশ ভালোই ছিলেন তিনি। ২০০০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে তার অভিষেক হয়। অধিনায়ক হন ২০০২ সালে এসে। যদিও ক্যারিয়ারটা খুব বেশি বিকশিত করতে পারেননি।
জাতীয় দলের হয়ে কখনো না খেললেও শ্রীলঙ্কার একাধিক তারকা খেলেছিলেন তারই অধীনে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, উপুল থারাঙ্গা আর ফারভিজ মাহরুফ তারই অধীনে অনূর্ধ্ব-১৯ এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছিলেন।
সবমিলিয়ে অনূর্ধ-১৯ দলের বাইরে গল ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ১২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ এবং ৮টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছিলেন নিরোশানা। সেই সময়েই ব্যাট হাতে ৩০০ রান আর বল হাতে পেয়েছিলেন ১৯ উইকেট। ২০০০ সালে অভিষেকের পর থেকে খেলেছেন একাধিক যুব পর্যায়ের ওয়ানডে এবং টেস্ট ম্যাচ।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]