না ফেরার দেশে চলে গেলেন কমনওয়েলথে স্বর্ণজয়ী কিংবদন্তী শুটার আতিকুর রহমান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
১৭ জুলাই, বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রায় এক দশক মরণব্যাধী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন আতিক। শুটিং রেঞ্জে লড়াই করা এই শুটার শেষ পর্যন্ত জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন।
গত দুই দশক বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন পুরোটাই ক্রিকেট নির্ভর। আশি-নব্বইয়ের দশকে ছিল একেবারে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল-হকির পেছনে ছিল ক্রিকেটের অবস্থান। ফুটবল ঘরোয়া পর্যায়ে জনপ্রিয় হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তেমন অর্জন ছিল না। সেই সময় কমনওয়েলথ গেমসের মতো আসরে স্বর্ণ জিতেছিলেন আতিকুর রহমান। যা বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেই সাড়া ফেলেছিল।
১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে আতিকুর রহমান ১০ মিটার পিস্তল ইভেন্টে আব্দুস সাত্তার নিনির সঙ্গে জুটি গড়ে স্বর্ণ জিতেন। ব্যক্তিগত ইভেন্টে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। কমনওয়েলথের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ান গেমসেও স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে আতিকের। শুটিং ছাড়ার পরও কিছুদিন শুটিংয়ের সঙ্গে ছিলেন।
শারীরিক অসুস্থতা গত কয়েক বছর একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কণ্ঠনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। দেশ ও দেশের বাইরে চিকিৎসা করালেও শেষ পর্যন্ত আর লড়াই করতে পারলেন না। ১৯৬৫ সালে জন্ম নেয়া কৃতি এই শুটারের জীবন থামল মাত্র ৫৯ বছর বয়সেই।
কিংবদন্তী শুটারের বিদায়ে শুটিং ফেডারেশনসহ আরও অনেক ক্রীড়া সংস্থা ও ব্যক্তিত্ব শোক প্রকাশ করেছে। আজ বিকেল তিনটায় শুটিং ফেডারেশনে আতিকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, কৃতী এই শ্যুটার ১৯৬৫ সালের ৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালের পর ১৯৯৩ সালে ঢাকায় এবং ১৯৯৫ সালে মাদ্রাজে (বর্তমান চেন্নাই) সাফ গেমসে সোনা জিতেছেন ব্যক্তিগত ও দলগত উভয় বিভাগেই। ক্রীড়াক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]