ফরাসী ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে দাপটের সঙ্গে উঠেছিলেন। সম্ভাবনা ছিলো আরও একটি গ্র্যান্ড স্লাম জয় করবেন। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হলো না। কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামার আগেই ছিটকে গেলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় নোভাক জকোভিচ।

কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পরই ইঙ্গিতটা দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হলো। ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নিলেন নোভাক জোকোভিচ। মঙ্গলবার আয়োজকদের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার রাতে চতুর্থ রাউন্ডে ফ্রান্সিসকো সেরুন্দোলোর বিপক্ষে খেলার সময়ই ডান পায়ের হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। ট্রেনারের শুশ্রুষার পরেও তাকে স্বাভাবিক লাগছিল না। কোর্টে খোঁড়াচ্ছিলেন। একাধিক ব্যথার ওষুধ খেতে হয় জকোভিচকে। এরপরও পাঁচ সেটে সাড়ে ৪ ঘণ্টার লড়াইয়ে হারান সেরুন্দোলোকে। আগের ম্যাচে রাত ৩টা পর্যন্ত খেলেছিলেন তিনি। ফলে শরীর আর সায় দেয়নি।

গ্র্যান্ড স্ল্যাম রেকর্ড ৩৭০তম ম্যাচ জিতেছেন জকোভিচ। রজার ফেদেরারকে টপকে গিয়েছেন। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পরেই বলে দিয়েছিলেন, ‘জানি না কাল বা তার পরেরদিন কী হবে। কোর্টে নেমে খেলতে পারব কি না বুঝতে পারছি না।’

জকোভিচ আরও জানিয়েছিলেন, তিনি খেলার ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু গত দু’সপ্তাহ ধরে চোট তাকে ভোগাচ্ছে। সেরুন্দোলোর বিরুদ্ধে ম্যাচে পা ঘুরে গিয়ে সেই চোট আরও বেড়েছে।

দ্বিতীয় সেটে ২-১ গেমে এগিয়ে থাকার সময় চোট পান জকোভিচ। সে সময় ট্রেনার এসে কোর্টের তার চিকিৎসা করেন। তখনই চেয়ার আম্পায়ারের উদ্দেশে জকোভিচকে বলতে শোনা যায়, ‘জানি না কী করব। খেলা চালিয়ে যাব কি না বুঝতে পারছি না।’ তবে ধীরে ধীরে তার ব্যথা তখন কমতে থাকে। শেষ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যান এবং রেকর্ড জয়ও তুলে নেন।

ম্যাচের পর তিনি আরও বলেন, ‘ওষুধের প্রভাব বেশি ক্ষণ থাকবে না। তাই দেখি পরে কী হয়। মনে হয় অনেক পরীক্ষা এবং স্ক্যান করাতে হবে।’

বিবার্তা/মাসুম