সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিং বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্যের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। তবে খুব বেশিক্ষণ গ্রেফতার থাকতে হয়নি তাকে। গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পরই অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত হয়ে গেছেন তিনি।
ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের হিসার জেতার হানসি পুলিশ স্টেশনে তাকে রবিবার (১৭ অক্টোবর) গ্রেফতার করা হয়। সে অঞ্চলের পুলিশ সুপার নীতিকা গেহলট জানিয়েছেন, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে তদন্তকারী অফিসার ডেপুটি পুলিশ সুপার বিনোদ শংকরের কাছে আসেন যুবরাজ। তদন্তে যোগ দেন।
এর কিছু পরেই হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে তাকে জামিন দেয়া হয়। হানসির পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘গ্রেফতার করার পর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন উনি। ইতিমধ্যে আমরা তার ফোন নিয়েছি।’ ডেপুটি পুলিশ সুপার ‘কাগজ-কলমে’ গ্রেফতারির ওপর জোর দিয়েছেন।
গত বছর ইনস্টাগ্রামে এক লাইভ ভিডিওতে যুজবেন্দ্র চাহালের বিরুদ্ধে যুবরাজ জাতিগত বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। হানসির এক আইনজীবী রজত কালসান তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
তার দাবি ছিলো, যুবরাজের মন্তব্যে দেশটির দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। কারণ, প্রচুর মানুষ সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন।
সে আইনীজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা, ১৫৩বি এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের (প্রতিরোধ এবং নৃশংসতা) ৩ (১) (ইউ) ধারায় মামলা করা হয় যুবরাজের নামে। তারই ফলে গ্রেফতার হলেন সাবেক ভারতীয় এই ক্রিকেটার।
হাইকোর্টে চলতি বছরের শুরুতে সেই এফআইআর খারিজের আবেদন করেছিলেন যুবরাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি যে আমার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমায় ভুল বুঝেছেন। যা অযাচিত ছিলো।
তবে দায়িত্ববান ভারতীয় হিসেবে আমি বলতে চাই যে, যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কারো ভাবাবেগে আঘাত দিতে থাকি, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি।’ তাতেও শেষরক্ষা হয়নি তার। শেষমেশ গ্রেফতারই হতে হয়েছে তাকে।
বিবার্তা/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]