প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়, দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয়। এমন পরিসংখ্যানে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে দুই দলের কাছে। সিরিজ নির্ধারণীর ম্যাচটি খেলতে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম পৌঁছেছে। পাশাপাশি প্রথম টেস্টও খেলবে চট্টগ্রামে। তবে টেস্ট ছাপিয়ে আপাতত ‘ফাইনাল’ ম্যাচটি নিয়েই আলোচনার ঝড়।
আগামীকাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় দ্বিতীয় ম্যাচের সুখস্মৃতি নিয়েই নামবে বাংলাদেশ। ঢাকার মতো এই স্টেডিয়ামটিও মোড়ানো হয়েছে সিসি ক্যামেরায়। প্রায় ৭৫টি ক্যামেরা লেগেছে চারদিকে। এই মাঠের সাম্প্রতিক রেকর্ড স্বাগতিকদের পক্ষে। সর্বশেষ তিনটি এক দিনের ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে তারা। প্রথম দুটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এবং শেষটির প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এমন পরিসংখ্যান এবং দলের আত্মবিশ্বাস যখন পাশাপাশি হাঁটছে, ‘ফাইনালের’ টিকিটের জন্য হাহাকার তো থাকবেই। তার ওপর বুধবার সরকারি ছুটি হওয়ায় সবাই এই ম্যাচের সাক্ষী হতে চায়। ১৮ হাজারের কিছু বেশি দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়াম শেষ পর্যন্ত হয়তো সবার চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু টিকিট নিয়ে যদি হাঙ্গামা বাধে, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
টিকিট পাওয়া যাক বা না যাক, সবাই টেলিভিশনে চোখ রাখবে সেটি নিশ্চিত। এখন চিন্তা শুধু বৃষ্টিকে নিয়েই। তবে ভেন্যু ব্যবস্থাপক ফজলে বারী খান আশার বাণীই শুনিয়েছেন, ‘মাঠের পানিনিষ্কাশনব্যবস্থা অনেক উন্নত। বৃষ্টি যদি হয়ও, বৃষ্টি থামার ঘণ্টা খানেক পরই খেলা শুরু হতে পারবে।’
এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বিশাল রানের টার্গেট তাড়া করেও শেষ মুহুর্তে এসে হেরে যায় বাংলাদেশ। ইংলিশদের দেয়া ৩১০ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং উপহার দেয় বাংলাদেশের টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার ইমরুল কায়েস তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ৪১.৩ ওভারে চার উইকেটে তুলে ২৭০ রান। জয়ের ঠিক কাছে এই যেন বাংলাদেশের ছন্দ পতন। ২৭১ রান থেকে ২৮৮ রান তুলতেই বাকি ৬টি উইকেট হারিয়ে ফেল মাশরাফিরা। ফলে প্রথম ম্যাচে ২১ রানে হারতে হয়েছে টাইগারদের।
দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে শুরু থেকে ইংলিশ বোলারদের আক্রমণে অগোছাল ভাবে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। মিডলঅর্ডারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৭৫ রানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাশাপাশি শেষের দিকে মাশরাফির ২৯ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে ২৩৯ রানের টার্গেট দেয়। অল্প রান তাড়া করতে নেমে মাশরাফির অসাধারণ বোলিং নৈপুন্যে শুরু উইকেট হারাতে থাকে ইংলিশরা। মিডলঅর্ডারে অধিনায়ক বাটলার ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠলেও ৫৭ রান করে ফিরে যান। মূলত এর পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৩৪ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এদিন বল হাতেও দুর্দান্ত ছিলেন মাশরাফি। ৮.৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।
বিবার্তা/প্লাবন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]