আরও একটি মুকুট যোগ হতে চলেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মুকুটে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বিরল সম্মাননায় ভূষিত হতে চলেছেন তিনি। সাকিব পেতে চলেছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার, যা কিনা বিবেচিত হয় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা হিসেবে।
অবসরের আগেই এই পুরস্কার লাভের দৃষ্টান্ত এ দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে হাতে গোনা। ক্রিকেটার হিসেবে এ গৌরব অর্জন করেছেন মাত্র দুইজন। ১৯৯৮ সালে খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই জাতীয় পুরস্কার পান আকরাম খান। আর কিংবদন্তী স্পিনার মোহাম্মদ রফিকও ২০০৬ সালে, অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক অবসরের দুই বছর আগেই এ সম্মাননা লাভ করেন।
আরও দুইজন বাংলাদেশীর ঝুলিতে আছে এই বিরল কীর্তি। শ্যুটার আসিফ হোসেন খান (২০০২) ও শারমিন আকতারও (২০০৬) অবসরের আগেই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। আর এবার তাদের পাশে উঠছে সাকিবের নাম।
সাকিবের জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি ঘোষিত হয়েছিল বেশ অনেকদিন আগে, ২০১৩ সালে। সাকিবের নাম ছিল ২০১২ সালের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের তালিকায়। তখন ২০১০, ২০১১, ২০১২ এই তিন বছরের জন্য মোট ৩২ জন ক্রীড়াবিদ মনোনীত হন জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার জন্য। কিন্তু আজও পুরস্কার হাতে পাননি তারা। অবশেষে অপেক্ষা ফুরোবে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখে। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেবেন তারা।
বিবার্তা/প্লাবন