নিজের ইনিংসের শুরু থেকেই ধৈর্য নিয়ে ব্যাট করছিলেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞতম ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর। কোনোরকমের ভুল শট না খেলে, একটু একটু করে এগিয়ে নিচ্ছিলেন নিজের ইনিংস। কিন্তু নাঈম হাসান আক্রমণে আসতেই যেন কী হয়ে গেল তার, হারিয়ে বসলেন নিজের উইকেট।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বোলিংয়ের শুরুটা করেছিলেন তাইজুল ইসলাম ও আবু জায়েদ রাহী। দিনের ১১ ওভার যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো আক্রমণে আনা হয় ম্যাচের সফলতম বোলার নাঈম হাসানকে। কোনো ভুল করেননি নাঈম। নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নিয়েছেন টেলরের উইকেট।
জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট নিয়ে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন নাঈমই। তাই হয়তো আজ নাঈম আক্রমণে আসতেই প্রতিশোধ নেয়ার ভূত চাপে টেলরের মাথায়। প্রথমে খেলার চেষ্টা করেন রিভার্স সুইপ। যা তার ব্যাট, উইকেট এবং উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসকে ফাঁকি দিয়ে বাই হিসেবে চলে যায় বাউন্ডারিতে।
সেই রিভার্স সুইপ মিস করেও যেনো শান্তি হয়নি টেলরের। তাই দুই বল পরেই উদ্ভ্রান্তের মতো ছক্কা হাঁকানোর আশায় স্লগ সুইপ করেন তিনি। যা ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। শর্ট স্কয়ার লেগ থেকে সহজেই ক্যাচ লুফে নেন তাইজুল ইসলাম। বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় ৪৭ বলে ১৭ রান করা টেলরের।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৪ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে তাদের এখনও প্রয়োজন ২৫১ রান। অন্যদিকে বাংলাদেশের দরকার শুধুমাত্র ৬টি উইকেট।
এর আগে সোমবার শেষ বিকেলের কয়েক ওভার জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিং করানোর লক্ষ্যে বেশ তড়িঘড়ি করেই ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। নিজেদের এ পরিকল্পনায় পুরোপুরি সফল স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে মাত্র ৫ ওভারের জন্য জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে নামিয়ে দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের দুইটি উইকেটই নিয়েছেন নাইম হাসান। তাও ইনিংসের প্রথম ওভারেই। অন্ধকার নেমে আসা শেরে বাংলায় শেষ বিকেলে আর পেসার ব্যবহার করেননি মুমিনুল। অফস্পিনার নাইমের হাতে তুলে দেন প্রথম ওভার। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন তরুণ নাইম।
নিজের ওভারের দ্বিতীয় বলে সরাসরি বোল্ড করে দেন বাঁহাতি ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরেকে। পরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নামা ডোনাল্ড তিরিপানো। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগে নাইমের। যা নাকচ করে দেন ব্রেন্ডন টেলর।
আজ দিনের শুরুতে, প্রথম দিনের মতোই টানা ৪ ওভার মেইডেন করেন আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলাম। দিনের পঞ্চম ওভারে কভার ড্রাইভে চার মেরে প্রথম রান নেন ব্রেন্ডন টেলর। তাইজুলের করা পরের ওভারে অন সাইডে ঠেলে দুই রান নেন ওপেনার কেভিন কাসুজা।
সে ওভারেই অবশ্য বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় কাসুজার। ওভারের চতুর্থ বলটিতে খানিক বাড়তি ফ্লাইট দেন তাইজুল। যাতে বিভ্রান্ত হয়ে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স খেলার চেষ্টা করেন কাসুজা। কিন্তু বল লাগে তার ব্যাটের বাইরের কানায়। প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে সহজেই সেটি লুফে নেন মোহাম্মদ মিঠুন। ফলে ৩৪ বলে ১০ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন কাসুজা।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]