শিরোনাম
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সুভ সূচনা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স’র
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:২৩
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সুভ সূচনা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স’র
স্পের্টস প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসরে শুভসূচনা করল তারা। নেপথ্য নায়ক ইমরুল কায়েস। আর পার্শ্বনায়ক চ্যাডউইক ওয়ালটন। দুজনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন চ্যালেঞ্জার্সরা।


৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেখান থেকে চ্যাডউইক ওয়ালটনকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান ইমরুল কায়েস। ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলেন তারা। একপর্যায়ে দুজনই ক্রিজে সেট হয়ে যান।


সিলেট বোলারদের তুলোধুনো করতে শুরু করেন ইমরুল-ওয়ালটন। ফলে জয়ের পথে এগোতে থাকে চাটগাঁর দলটি। তবে হঠাৎ থমকে যান ইমরুল। অবশ্য জয় তখন হাতছোঁয়া দূরত্বে। এবাদত হোসেনের বলে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। ফেরার আগে খেলেন ৩৮ বলে ৫ ছক্কার বিপরীতে ২ চারে ৬১ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস।


দলীয় ২০ রানে জোড়া উইকেট হারিয়ে বড়সড় ধাক্কা খায় চট্টলার দলটি। নাজমুল ইসলাম অপুর বলির পাঁঠা হয়ে ফেরেন জুনায়েদ সিদ্দিকী ও নাসির হোসেন। শেষেরজন রানের খাতায় খুলতে পারেননি।


পরে ইমরুল কায়েসকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন আভিশ্কা ফার্নান্দো। তবে হঠাৎ পথচ্যুত হন তিনি। ক্রিসমার সান্তোকির বলে আউট হন এ লংকান। ফেরার আগে ২৬ বলে ৩টি চার-ছক্কায় ঝড়োগতিতে ৩৩ রান করেন ফার্নান্দো।


ফলে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। এ পরিস্থিতিতে রায়ার্ন বার্লকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালান ইমরুল। তবে আচমকা থেমে যান বার্ল। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। এতে চাপ আরো বাড়ে।


বুধবার দুপুরে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। এ ম্যাচে খেলছেন না দলটির নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফলে দলের হয়ে টস করতে নামেন রায়াদ এমরিত। টসভাগ্যে জিতে যান তিনি।


এতে আগে ব্যাটিং শুরু করে সিলেট। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। সূচনালগ্নেই ফিরে যান রনি তালুকদার। উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি করে তাকে ফেরান রুবেল হোসেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে প্রথম উইকেটশিকারী হন তিনি।


রনি ফিরলেও দারুণ খেলতে থাকেন অপর ওপেনার জনসন চার্লস। মোহাম্মদ মিঠুনের কাছ থেকে পান যোগ্য সহযোদ্ধার সঙ্গ। তাতে রীতিমতো চোখ রাঙান তিনি। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি ক্যারিবীয় ব্যাটার। তার চোখরাঙানি থামান নাসুম আহমেদ। ফেরার আগে ২৩ বলে ৭ চারে ঝড়ো ৩৫ রান করেন চার্লস।


সেই রেশ না কাটতেই এমরিতের শিকার হয়ে ফেরেন জীবন মেন্ডিস। ফলে সিলেটের রানের চাকা স্লো হয়ে যায়। ১০ ওভার হয়ে গেলেও ছক্কার দেখা মেলেনি। অবশেষ সেই বন্ধ্যাত্ব ঘোচান মোহাম্মদ মিঠুন। ১০.৫ ওভারে মুক্তার আলিকে লং অন দিয়ে বিশাল ছক্কা মারেন তিনি। এটিই এবারের বিপিএলের প্রথম ওভার বাউন্ডারি।


এরপরই খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন মিঠুন। পরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান তিনি। পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। এ পথে ৫ ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে ছিল না কোনো চারের মার।


সেখানেই থেমে থাকেননি মিঠুন। পরেও বন্দরনগরীর বোলারের ওপর ছড়ি ঘোরান তিনি। ছোটান স্ট্রোকের ফুলঝুরি। তাকে দারুণ সমর্থন জোগান মোসাদ্দেক হোসেন। একপর্যায়ে দুর্দান্ত মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। ফলে রানের চাকাও বনবন করে ঘুরতে থাকে সিলেটের।


মোসাদ্দেক একটু দেখেশুনে খেললেও তোপ দাগান মিঠুন। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে চট্টগ্রাম বোলারদের কচুকাটা করেন তিনি। শেষ অবধি তার টর্নেডোতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ১৬৩ রানের টার্গেট দেয় সিলেট।


এর খানিক আগে ১টি করে চার-ছক্কায় ৩৫ বলে ২৯ রান করে মোসাদ্দেক ফিরলেও ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন মিঠুন। ৪৮ বলে ৫ ছক্কার বিপরীতে ৪ চারে এ দুর্দমনীয় ইনিংসটি সাজান তিনি। শেষ অবধি তার মারকাটারি ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রানের পুঁজি গড়ে সিলেট। চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় ২ উইকেট নেন রুবেল।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com