সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের কাছে ৩০ রানে হেরেছে গেছে টাইগাররা। নাগপুরে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দুই দলই একটি করে ম্যাচ জেতায় রবিবারের (১০ নভেম্বর) ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে পরিণত হয়েছে।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শফিউল। তার বলে স্ট্যাম্প উড়ে যায় ভারত সেরা ওপেনার রোহিত শর্মার।

এরপর দলীয় ৩৫ রানে ভারতীয় শিবিরে ফের আঘাত হানেন শফিউল। তার বলে ডিপ মিডউইকেটে ফিল্ডিং করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন শেখর ধাওয়ান। সাজঘরে ফেরার আগে ১৬ বলে ১৯ রান করার সুযোগ পান তিনি।

দলীয় ৩৫ রানের দুই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরেন লোকেশ রাহুল। তার ব্যাটে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে খেলায় ফেরে স্বাগতিকরা।

একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৩ বলে ক্যারিয়ারের ৩১তম ম্যাচে ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নেন রাহুল। ফিফটির পর ব্যাটিং তাণ্ডব শুরু করার আগেই আল-আমিন হোসেনের শিকার হন তিনি। আল আমিনের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৩৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৫২ রান করেন রাহুল। তার বিদায়ে ১২.১ ওভারে ৯৪ রানে তিন উইকেট হারায় ভারত।

এরপর শ্রেয়াশ আয়ার ভয়ংকর হয়ে উঠেন। ৩৩ বলে ৫ ছক্কা এবং ৩ চারের সাহায্যে তিনি করেন ৬২ রান। এরপর সৌম্য সরকারের বলে লিটন দাসের হাত ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন আয়ার। ২০ অভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে স্বাগতিকরা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২ রানে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলেন তরুণ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাইম শেখ।

তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়েন তিনি। আর এই জুটিতেই ৩৪ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম ফিফটি করেন নাইম। এরপর ২৯ বলে ২৭ রান করে আউট হন মোহাম্মদ মিথুন। মিথুনের পর ক্রিজে আসেন মুশফিক।কিন্তু আজ প্রথম বলেই আউট হয়ে যান বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এ ব্যাটস ম্যান।

এরপর মোহাম্মদ নাইম শেখ জুটি গড়েন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে। এরপর ৪৮ বলে ১০ চার এবং ২ ছক্কার সাহায্যে ব্যক্তিগত ৮২ রানে আউট হন নাইম শেখ। নাইমের পর ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হন আফিফ হোসেন। এরপর ক্রিটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। চাহালেরবলেব্যক্তিগত ১০ রানে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।

এরপর ২০ অভারে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করতে সক্ষম হয় টাইগাররা। ভারতের পক্ষে চাহার একাই শিকার করেন ৬ উইকেট।

বিবার্তা/আবদাল