বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগেরদাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে তার পরিচয় জানান দিচ্ছে। সে সময়ে আইসিসি ও বিসিবি সিদ্ধান্তগুলো দেশের ক্রিকেট হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সাকিব বিশ্বের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। তাকে দমিয়ে রাখার জন্য চলছে নানা ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা কখনো মেনে নেওয়া হবে না। ক্রিকেট বোর্ডকে দলীয়করণ ও অপরাজনীতি মুক্ত করতে হবে।
এ সময় ক্রিকেটপ্রেমীরা তিনটি দাবি জানিয়ে বলেন, সাকিবের প্রতি ষড়যন্ত্রমূলক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে খেলার মাঠে ফিরিয়ে দিতে হবে। ক্রিকেট বোর্ড সভাপতিকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
এদিকে এদিকে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত সাবের হোসেন চৌধুরী। কয়েক দিন আগে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটকে তার ব্যর্থতা বলে অ্যাখ্যায়িত করেন তিনি। সাকিব আল হাসান ইস্যুতে ফের মুখ খুললেন সাবেক বোর্ড প্রেসিডেন্ট। পাপনকে রীতিমতো ধুয়ে দিলেন সাবের হোসেন।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের নিয়ম না মানায় সব ধরনের ক্রিকেটে সাকিবকে এক বছর নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। যদিও প্রথমে সেটি দুই বছর ছিল। দেশসেরা ক্রিকেটারের এ নিষেধাজ্ঞার জন্য নাজমুল হাসানের দিকে আঙুল তুলেছেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন সাবের হোসেন। সাকিবদের ধর্মঘটের মাঝে পাপন বলেন, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর আসছে। তার সেই উক্তির ভিডিও একটি টুইটের সঙ্গে জুড়ে দেন সাবেক বোর্ড প্রেসিডেন্ট। এর ক্যাপশনে বিসিবির বর্তমান সভাপতিকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে অ্যাখ্যা দেন তিনি।
সাবের হোসেন লেখেন- আমার মনে হয়, বিসিবি সবকিছুই জানত। পাপন সাহেব বলেছেন- এ নিয়ে তার কোনো ধারণাই ছিল না। কথাটা সত্য নয়। দুঃখ লাগলেও এটি বলতেই হচ্ছে। ২২ অক্টোবরের ভিডিও ক্লিপ দেখে মনে হচ্ছে, আইসিসির ঘোষণার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন উনি।
আরেক টুইটে বিসিবির সাবেক সভাপতি লিখেছেন- ভণ্ডামি, সর্বোৎকৃষ্ট/নিকৃষ্টের দ্বৈত চরিত্র। আইসিসির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে বিসিবি। ক্রিকেট দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমান আবেগই দেখিয়েছে। কিন্তু সংস্থাগত ম্যাচ ফিক্সিং দুর্নীতির মূলোৎপাটন না করে, ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটিকে আরো উৎসাহিত করছে বোর্ড। লজ্জাজনক!
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]