‘বক ফুল’। নামটা একটু অদ্ভুতই বটে! তবে সাভারের ধামরাইয়ে এই বক ফুল চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ। তার দেখাদেখি ধামরাইয়ের বিভিন্ন গ্রামে এখন বক ফুল চাষ হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে এই ফুল চাষ করলে কৃষকরা স্বাবলম্বী হবে বলে মনে করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আব্দুর রশিদের বাড়ি ধামরাইয়ের ইসলামপুর গ্রামে। প্রায় দুই বছর আগে তিনি বাড়িতে বক ফুলের চারা রোপণ করেন। চারা রোপণের এক বছর পরে গাছে ফুল আসতে শুরু করে। তিনি প্রতিদিন গাছ থেকে ২০০টি ফুল সংগ্রহ করে এক টাকা ধরে স্থানীয় খাবার দোকানদারের কাছে বিক্রি করেন। বাজারে বক ফুলের চাহিদাও বেশ।
বক ফুল তিন রকমের হয় সাদা, লাল ও গোলাপী। এই ফুল দেখতে অনেকটা বকের ঠোঁটের মতো। একটি বক ফুলের গাছ থেকে দিনে দুই শতাধিক ফুল তোলা যায়। শীতকালে এ গাছে ফুল বেশি ধরে। গাছের ডালে বকের ঠোঁটের মতো ফুল বোঁটায় ঝুলে থাকে বলে এই নামকরণ করা হয়েছে। প্রথমে বোঁটার অগ্রভাগে সবুজ রঙের ফুলের কলি আসে। নির্দিষ্ট সময় পর তা ফুলে রূপান্তরিত হয়। গাছে সারা বছর ফুল ধরে। গাছের ডালে ডালে বকের ঠোক সদৃশ অসংখ্য ফুল যে কারো নজর কাড়বে।
সরকারিভাবে আরেকটু সুযোগ সুবিধা পেলে ওই গ্রামের অনেক বেকার যুবক বক ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে বলে মনে করেন বক ফুল চাষি আব্দুর রশিদ। তিনি জানান, তার দেখাদেখি ওই এলাকায় অনেকে বক ফুল চাষ করা শুরু করেছেন।
ইসলামপুর এলাকার স্থানীয় চপ বিক্রেতা রাজু মিয়া জানান বক ফুল দিয়ে ২০ আইটেমের খাবার তৈরি করা যায়। এ ফুল দিয়ে আলুর চপ, বেগুনি, বড়াসহ নানারকম আইটেম তৈরি করা যায়। খাবার দোকানগুলোতে বক ফুলের তৈরি আলুরচপ, বেগুনীসহ নানা আইটেম বিক্রি হচ্ছে। এর স্বাদও দারুণ।
বিবার্তা/শরীফুল/সোহাগ/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]