শিরোনাম
সেই জঙ্গিকে খুঁঁজছে র‌্যাব
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০১৭, ১৬:৫৮
সেই জঙ্গিকে খুঁঁজছে র‌্যাব
খলিলুর রহমান
প্রিন্ট অ-অ+

সিলেটের সেই আতিয়া মহেল থেকে পলাতক এক জঙ্গির সন্ধানে মাঠে নেমেছে র‌্যাব। ইতোমধ্যে ওই জঙ্গির আশ্রয়দাতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।


সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকায় আতিয়া মহল নামের এক বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে চলতি বছরের ২৫ মার্চ ঢাকা থেকে সোয়াট টিমের সদস্যরা অভিযান চালায়। এরও পরে ওই জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। ''অপারেশন টোয়াইলাইট’' নামের ওই অভিযানে চার জঙ্গি নিহত হয়। ২৮ মার্চ পর্যন্ত চলে ওই অভিযান। তবে অভিযান শুরুর আগেই এক জঙ্গি সেখান থেকে পালিয়ে যায়।


র‌্যাব জানায়, পলাতক সেই জঙ্গির নাম সাজিদ ওরফে সানজিদ ওরফে কামরান ওরফে লাল ভাই ওরফে হাবিবুর রহমান ওরফে মামুন ওরফে রশিদ। সে পুলিশের অভিযানের পূর্বে আতিয়া মহলে অবস্থান করেছিল। ভাগ্যক্রমে সে অভিযানের পূর্বে আতিয়া মহল হতে বের হয়ে আসে এবং রাজধানীর মহাখালীতে জঙ্গি দলের ঢাকা মহানগর পশ্চিমের দাওয়াতী আমীর ইমরান আহমেদের বাসায় আশ্রয় নেয়।


সাজিদ ছাড়াও ইতোপূর্বে সে আব্দুল হাকিম, তাওহীদ, রাশেদ, আনোয়ার ও জনি ওরফে মোহাম্মদসহ জেএমবির সারোয়ার-তামীম গ্রুপের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক সদস্যকে তার বাসায় আশ্রয় দিয়েছিল।


গত ১১ জুন ইমরান আহমেদকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তার বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, সাজিদ জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় শুরা সদস্য। বর্তমানে জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ পদেও রয়েছে। এছাড়া জেএমবির বর্তমান কেন্দ্রীয় আমির আবু মুহারিবের আস্থাভাজন।


র‌্যাব জানায়, আবু মুহারিবের পরিকল্পনায় সাজিদ জেএমবির মূলধারা এবং বর্তমান ধারাকে একত্রিত করার প্রয়াস নিয়েছে। এ লক্ষ্যে সে বিভিন্ন স্থানে জেএমবির শুরা সদস্যদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছে।


র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সাজিদের অবস্থান সম্পর্কে ইমরান জানায়, তাদের গোপন যোগাযোগের মাধ্যম থ্রীমা গ্রুপে গত ২৬ মে থেকে সাজিদের আইডি নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সেই গ্রুপে তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা করা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে সে নতুন কোনো নাশকতার প্রস্তুতি নিতে পারে।


র‌্যাব আরো জানায়, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল বগুড়ার সোনাতলায় শায়েখ এনামুলে বাড়িতে জেএমবির সারোয়ার-তামীম গ্রুপের গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে দেশের বিভিন্ন জেলার ৩০-৩৫ জন জঙ্গি অংশগ্রহণ করে। আলোচনার ভিত্তিতে ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি দাওয়াতী শুরা বোর্ড গঠন করা হয়। দাওয়াতী আমীর নির্বাচিত হয় শায়েখ আরিফ, নায়েবে আমীর নির্বাচিত হয় শায়েখ এনামুল। গ্রেফতারকৃত ইমরানও শুরা সদস্য মনোনীত হয়েছিল। এছাড়া ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ জেএমবির কেন্দ্রীয় আমীর আবু মুহারিব কর্তৃক অনুমোদনের জন্য সাজিদের নিকট প্রেরণ করা হয়।


এ ব্যাপারে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সাজিদ জেএমবির বর্তমান আমিরের খুবই আস্থাবাজন একজন। সে সকল শাখা প্রধানদের তথ্য আমিরের কাছে পৌঁছায়। তবে গত ২৬ মে থেকে সাজিদ জেএমবির শাখা প্রধানদের সাথে যোগাযোগ রাখছে না। ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মগোপনে থেকে নাশকতা নতুন কোনো পরিকল্পনা করছে।


তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, সাজিদ বা জেএমবির কোনো শাখা প্রধানকে গ্রেফতার করতে পারলে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।


বিবার্তা/খলিল/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com