মাসোয়ার দিয়ে রাজধানীতে চলছে টেম্পু, লেগুনা, অটোরিকশা
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩, ০৯:৫৫
মাসোয়ার দিয়ে রাজধানীতে চলছে টেম্পু, লেগুনা, অটোরিকশা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে অবৈধ ‘বিপজ্জনক’ বাহন টেম্পু, লেগুনা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা-আটোরিকশা। এসব বাহনের বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকলেও শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব গাড়ির কাগজপত্র আছে কি নেই, তা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কোনো চিন্তাই নেই। অথচ অন্য যেকোনো যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র চেক করলেও এসব বাহন থামিয়ে কখনও চেক করতে দেখা যায় না। গায়ে কেবল নিজেদের ইচ্ছেমতো রুটটা লিখে নিলেই হয়। ভাড়া থেকে শুরু করে সড়কে চলাচল, স্ট্যান্ড নির্ধারণ—সবকিছুই মালিক ও প্রভাবশালীরা করেন।



অভিযোগ আছে, ট্রাফিক পুলিশ ও প্রভাবশালীরা এসব টেম্পু, লেগুনা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা-আটোরিকশা থেকে মাসোয়ারা পান। এছাড়াও ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেম্পু ও লেগুনা মালিকদের লেনদেনের চুক্তি আছে। কোথাও টোকেন, আবার কোথাও স্লিপের মাধ্যমে এসব বাহন সড়কে চলাচল করছে। এসব গাড়ির মালিকপক্ষের অনেকেই পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা! এর পেছনে রয়েছে বড় ধরনের সিন্ডিকেট। ফলে এসব বন্ধ হচ্ছে না।



২০১৮ সালে তৎকালীন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ঢাকায় কোনো লেগুনা চলবে না। কিছুদিন এই ঘোষণা কার্যকর থাকলে পরবর্তী সময়ে আবার প্রায় সব রুটেই লেগুনা চলাচল শুরু হয়েছে।


গত কয়েকদিন রাজধানীর মতিঝিল থেকে বাসাবো, পোস্তখোলা থেকে বাংলাবাজার, গুলিস্তান থেকে চকবাজার-নিউমার্কেট-সেকশন-আজিমপুর, জয়কালি মন্দির থেকে জুরাইন-আরসিনগেইট, আজিমপুর ট্যানারি মোড় থেকে নিউমার্কেট, নিউমার্কেট থেকে রায়েরবাগ-ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হল, জিগাতলা থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট থেকে ৬০ ফিট-পল্লবী, মোহাম্মদপুর থেকে শ্যামলী হয়ে মিরপুর, ফার্মগেট থেকে ৩০০ ফিট-মহাখালী, মহাখালী থেকে মোহাম্মদপুর, রামপুরা ব্রিজ থেকে বনশ্রী-স্টাফ কোয়ার্টার, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর-২, মিরপুর-১০; তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল; ও বাসাবো-খিলগাঁও এলাকা ঘুরে টেম্পু, লেগুনা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশা অবাধে চলাচল করতে দেখা যায়। আবার এসব গাড়ির চালক ও হেলপার বেশিরভাগ অপ্রাপ্তবয়স্ক। এই বাহনগুলোর হেলপার হিসেবে মূলত শিশুদেরকেই কাজ করতে দেখা যায়।



কীভাবে চলছে লেগুনায় শিশুশ্রম—এমন প্রশ্নে ট্রাফিক পুলিশ বলছে, মানবতার খাতিরে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।



লেগুনার নিবন্ধন দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তারা প্রধান সড়কে চলাচলের রুট পারমিট দেয় না, ঢাকার ভিতরের সড়কগুলোতে চলাচলের অনুমতি দেয়৷ ঢাকায় নিবন্ধন পাওয়া লেগুনার সংখ্যা পাঁচ হাজার৷ কিন্তু ঢাকা এবং আশপাশে চলাচল করে প্রায় ৩০ হাজারের মতো লেগুনা ও টেম্পু৷ শুধু প্রধান সড়কেই নয়, ঢাকার আশপাশের মহাসড়কেও এই যান চলাচল করে৷


রাজধানীতে লেগুনার সর্ববৃহৎ রুট যাত্রাবাড়ী। যাত্রাবাড়ী থেকে পঞ্চবটিসহ প্রায় ১০টিরও বেশি রুটে লেগুনা চলাচল করে। বেশিরভাগ লেগুনার চালক ও হেলপার একজনই। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে রাস্তায়। গুলিস্তান রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। লেগুনার অন্যতম বৃহৎ রুট গুলিস্তানেও দেখা গেছে একই চিত্র। ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়েই হরহামেশা এসব বাহন চলাচল করছে। রাস্তার মাঝেই দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে-নামাচ্ছে।


লেগুনা যাত্রী মুনিরা জামান অন্তির সাথে কথা হয় বিবার্তার। তিনি বলেন, ‘আমার বাসায় যাওয়ার জন্য লেগুনা বেশি ভালো। বাসে গেলে অনেক সময় লাগে। বিভিন্ন স্থানে দাঁড়ায়, যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে। অন্যদিকে লেগুনা বিভিন্ন অলি-গলি দিয়ে দ্রুত যায়, সময় বেঁচে যায়। আবার বেশি ভীড়ও নেই।’


লেগুলায় চলাচলে ঝুঁকি আছে—এমন কথা বলতেই তিনি দাবি করেন, ঢাকার সব যানবাহনে চলাচল করা ঝুঁকি। বেশিরভাগ চালকের কাগজপত্র নেই, গাড়ির অবস্থা ভালো না।


ওই সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশ সদস্য শাহাদাত হোসেন। পাশ দিয়েই বেপরোয়া চলাচল করছে টেম্পু, লেগুনা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশা। রুট পারমিট ছাড়া কীভাবে চলছে জানতে চাইলে শাহাদাত বলেন, জানি না কীভাবে চলছে?


এসব লেগুনার কাগজ চেক করেন না কেন? জানতে চাইলে বলেন, এসব গাড়ি আসলে আটকানোর কিছু নাই!


শাহাদাত হোসেন বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশা চলাচলে নিষেধ থাকলেও কেউ মানছেন না। শুধু প্রতিবন্ধীদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সুযোগে অনেকেই তা চালাচ্ছেন। আমরা প্রধান সড়কে আসতে দেখলেই তাদের ধরি, আটক করি। তারপরও এর সংখ্যা না কমে বেড়েই চলছে। বেপরোয়া চলাচল করে এসব বাহন, মানুষ সবসময় ঝুঁকিতে থাকে।



ফার্মগেটে গিয়ে দেখা যায়, ইন্দিরা রোডে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে প্রায় অর্ধশত লেগুনা। কথা হয় লেগুনাচালক মো. আনসার মিয়ার সাথে। তিনি বিবার্তাকে বলেন, আমরা তো আগের মতোই লেগুনা চালাইতাছি। আর গাড়ি না চললে আমরা কি করমু, আমাগর সংসার চলব কেমনে। এখান থেকে খামারবাড়ি গোলচত্বর থাহি শেরেবাংলা নগর দিয়ে ৬০ ফিট ও মিরপুর-২ মোড় পর্যন্ত চলাচল করতাছি। পুলিশ আমাগর এ রুটে চলাচলে সময় কোনো বাধা দেয় না।



লেগুনা মালিক আতিকুর রহমান বিবার্তাকে জানান, রাস্তায় লেগুনা চলার জন্যে প্রতি দিন অনেক টাকা চাঁন্দা তুলা হয়। সব গাড়ি থাকি টাকা নেওয়া হয়। লেগুনা থাকি এসব টাকা সবাই মিলি ভাগ করি নেয়। এ কারণেই তো লেগুনা চলাচলের সময় কেউ কিছু কয় না।


তিনি বলেন, এসব রাস্তাত আগে অটোরিকশা, টেম্পু চলত। এসব অটোরিকশা, টেম্পু উঠিয়ে নামানো হয় হিউম্যান হলার বা লেগুনা। তারও রুট পারমিট বন্ধ করি দিছে। পারমিশন না থাকলেও কিছুদিন পর থাকি আবার চালু হইছে।


পথচারী সাদিয়া আফরিন বিবার্তাকে বলেন, রাস্তায় অনেক গাড়ি চলাচল করে, কিন্তু লেগুনা ও আটোরিকশার মতো বেপরোয়া কেউ না। এসব লেগুনা বা অটোরিকশা একটু জায়গা পেলেই টান দেয়। এমনকি ফুটপাতে মানুষের ওপর পর্যন্ত তুলে দেয়। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। বলতে গেলে আরও খারাপ ব্যবহার করে।


তিনি বলেন, এসব গাড়ি থেকে পুলিশ ও নেতারা প্রতিমাসে টাকা নেন। তাই পুলিশ এসব দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। কেউ এসব দেখার জন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেন না। তাই বলে লাভ নেই।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট জানান, লেগুনা বা হিউম্যান হলারের রুট পারমিট না থাকলেও রাজধানীর অলি-গলি থেকে শুরু করে সব জায়গায় অবাধ চলাচল করছে। এসব গাড়ির মালিক-চালকদের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএ কর্মকর্তাদের লেনদেনের চুক্তি করা আছে। সবাই সবকিছু জানে, কিন্তু কিছু করার নেই। কারণ এসব যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা সব বুঝেশুনেই করে। তাদের পেছনে প্রভাবশালী মহলের হাত আছে।


তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে অনেক নেতাকর্মীও টাকার লোভে এসব লেগুনা চলাচলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এসব গাড়ি চালায় ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোররা, হেলপার হিসেবে থাকে ১২ বছরের নীচের শিশুরা। আমাদের সামনে দিয়েই এসব চলছে। কিন্তু বলার কিছু নাই। এসব বলে কোনো লাভ নেই! অযথা আমাকে আমার জায়গা থেকে সরায়ে দেওয়া হবে, তাই কী দরকার। যেমন চলার চলুক।


ফার্মগেটে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মো. নাজমুল বিবার্তাকে বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশা নিষিদ্ধ হবার পরও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চলছে। কারও কোন দক্ষতা নেই তাই এসব গাড়ি বেপরোয়া চলাচল করছে। দ্রুত চলতে গিয়ে মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে।


তিনি বলেন, এসব আমাদের সামনে যখনই পড়ে, আমরা ধরে ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দেই। তাদের আইনগতভাবে চালানোর অনুমতি নেই, মানবিকভাবে আমরা তাদের চালাতে দেই, যারা প্রতিবন্ধী তাকে। কিন্তু এই সুযোগে সবাই এসব অটো-রিকশা রাস্তায় নামাচ্ছে।


মো. নাজমুল আরও বলেন, এখানে যতগুলা অটোরিকশা চলে আপনি গুণে শেষ করতে পারবেন না, অসংখ্য। অটোরিকশা যখন আমরা ধরতে যাই, আটোরিকশায় যে যাত্রী থাকে সে অনুরোধ করে ভাই জরুরি রোগী আছে, হাসপাতালে যাচ্ছি,।কেউ বলে ভাই একটা জরুরি কাজে যাচ্ছি এখন ছেড়ে দেন, হাজারো রিকোয়েস্ট, আমরা কি করব। আবার অনেকে বলেন, কেন যাইতে দিবেন না, কি সমস্যা। এরকম অনেক বাস্তবতা আছে।


তিনি বলেন, আবার অনেক সময় গাড়ি ডাম্পিংয়ে দিয়ে আসা হয়। তখন অনেকে এসব ছাড়ানোর জন্য রিকোয়েস্ট করে। এমন মানুষ রিকোয়েস্ট করেন, আপনি ভাবতেও পারবেন না। এসব গাড়ির জন্য একজন মন্ত্রীর পিএস পর্যন্ত ফোন দেয়। আপনি ধারণাও করতে পারবেন না।
 
এ নিয়ে বিআরটিএ পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বিবার্তাকে বলেন, কাগজপত্র ছাড়া কেউ চালালে তা অন্যায় করছে, বেআইনিভাবে চালাচ্ছে।


বিআরটিএ’র সাথে গাড়ি মালিকদের কারসাজি সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কি রাস্তায় থাকি, রাস্তায় থাকে পুলিশ। আমাদের সাথে কিসের কারসাজি, কোনো কারসাজি নেই। আমরা রাস্তায় থাকি? আমাদের কি বাহিনী আছে যে আমাদের সাথে কারসাজি করে চলে। পারমিশন যেগুলো আমরা দিচ্ছি না, সেটাও তো রাস্তায় চলতেছে। তো তাদের সাথে আমাদের কীভাবে কারসাজি হলো বলেন। আমাদের অনুমতি না নিয়ে যেসব গাড়ি চলছে তা অবৈধ।


অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা রাস্তায় চলার জন্য অনুমোদন দেই। কেউ যদি অনুমতি না নিয়ে চালায় সে বড় ধরনের অন্যায় করতেছে। অন্যায়কারীদের রাস্তায় পুলিশ দেখছে। ট্রাফিক পুলিশের বাহিনী আছে তারা দেখতেছে এগুলো। আমাদের কাছে কেউ এসব নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনলে তখন আমরা এগুলো দেখব।


কতগুলো লেগুনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, এসব বিষয়ে আমাদের মিরপুর অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। মিরপুর অফিসে ঢাকায় কতগুলো লেগুনা অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার হিসাব রয়েছে। এটা আমাদের হেড কোয়ার্টার থেকে দেওয়া হয় না, ওখান থেকে দেওয়া হয়।


এ নিয়ে রমনা ট্রাফিক জোনের ডিসি জয়নুল আবেদীন বিবার্তাকে বলেন, আমরা ধরলে এসব গাড়ির মামলা দিই, ডাম্পিং করি। আমাদের সামনে পড়লেই এসব গাড়ি আটক করি, জরিমানা করি। আমাদের হাতে যে আইন আইন আছে, আমরা তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আরও বড় লেভেলের বিষয় যে, এসব গাড়ি কোথায় চলবে কোথায় চলবে না, আমদানি, রফতানির বিষয় আছে। আমাদের ডিভিশনে চোখের সামনে পড়লেই এর জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেই। মোটকথা আইনে যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেগুলা সবই নিয়ে থাকি।


আর্থিক বিষয়ে লেনদেন বা লেগুনার টোকেন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব টোকেনের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। আমাদের সামনে পড়লেই আটক।


এসব গাড়ি রাস্তায় চলাচলে পুলিশের কারসাজি রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, রাস্তায় বের হলে অটোরিকশা পেলেই তো আমি ব্যবস্থা নেই। এসব কথা ভিত্তিহীন। আমরা আইনের ব্যাপারে কঠোর, আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করি। আমাদের ট্রাফিকের লোক জড়িত নেই- শতভাগ নিষ্ঠার সাথে আমি বলতে পারি। পুলিশ বলতে অনেক কিছু বোঝায়, তবে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ এসব কাজে জড়িত না। আমি তো অন্য পুলিশের খবর বলতে পারব না, আমার ট্রাফিক পুলিশ কোনোভাবেই এসবের সাথে জড়িত না। তবে অগোচরে কেউ যদি জড়িত থাকে, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।


বিবার্তা/রিয়াদ/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com